২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আখাউড়ায় শিক্ষকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

আখাউড়ায় শিক্ষকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ - ছবি : নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মানসিক নির্যাতনে উপজেলার হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: এরফানুল ইসলাম শরীফ মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্খীরা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ নিয়ে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত এ বিক্ষোভ হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিক্ষুব্ধদেরকে শান্ত করে। জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন।

বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহী বিদ্যালয়ে গিয়ে অফিস কক্ষে এরফানুল ইসলাম শরীফের সাথে একান্তে কথা বলেন। এ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শনে চলে যান। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ থেকে অন্য শিক্ষকদেরকেও বের করে দেয়া হয়। ১৫-২০ মিনিট কথা বলার পর ইউএনও বিদ্যালয় থেকে চলে যান। তখন একাধিক শিক্ষককে নিয়ে ওই অফিস কক্ষেই নাস্তা করেন এরফানুল হক।

ইউএনওর সাথে তেমন কিছুই হয়নি বলে তিনি অন্য শিক্ষকদের কাছে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে গেলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শুভাকাঙ্খীরা সেখানে ছুটে যান। বেশ কিছু সময় অপেক্ষার পর লাশ নিয়ে তারা মিছিল বের করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙনে যান। সেখানে মানসিক নির্যাতনের দাবি করে ইউএনওর বিচার দাবি করা হয়। উপজেলা পরিষদে অবস্থানরত সেনা সদস্যরা তখন বিক্ষুব্ধদেরকে শান্ত করেন। জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি জানতে আখাউড়ায় আসেন।

এরফানুল ইসলাম শরীফের ভাই মো: আওলাদ হোসেন অভিযোগ করেন, ইউএনও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মানসিক নির্যাতনেই তার ভাই মারা গেছেন।

তিনি জানান, সকালে ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের রাধানগরের বাড়িতে যান। এ সময় উপজেলা কমপ্লেক্সের দিকে কেন বাড়ির গেট রাখা হলো সেটা নিয়ে ইউএনও প্রশ্ন তুলেন ও ক্ষোভ দেখান। কিছুক্ষণ পরই তিনি বিদ্যালয়ে গিয়ে তার ভাইয়ের সাথে উচ্চবাচ্যে কথা বলেন এবং মানসিক নির্যাতন করেন বলে জানতে পারেন।

তবে ইউএনও গাজালা পারভীন রুহী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন ওই শিক্ষকের বেতন আটকা ছিল। আমি সেটার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার স্বাক্ষরে ওনার বেতন হয়েছে। তাহলে আমি কেন ওনাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে যাব।’
তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের কোয়ার্টার ভবনগুলো পরিদর্শনের অংশ হিসেবে হিসেবে এরফানুল ইসলামের বাড়ির দিকে যেতে হয়। আর বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে ওনার সাথে স্বাভাবিক কথা বলি। ওনার সাথে আমার কোনো ধরণের উচ্চবাচ্য হয়নি। আমি আসার অনেক পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানতে পেরেছি।


আরো সংবাদ



premium cement