২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঈদগাঁওয়ে গভীর রাতে স্কুলের নথিপত্র গায়েব!

ঈদগাঁওয়ে গভীর রাতে স্কুলের নথিপত্র গায়েব! - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে হামলা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে স্কুলের অফিস কক্ষে এই হামলা করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তিন তলা প্রশাসনিক ভবনের দোতলায় অবস্থিত অফিস কক্ষের দরজা ভাঙ্গা। অফিসের বিভিন্ন আলমীরা ও শো কেসে রক্ষিত ফাইল ও কাগজ পত্র মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, চোরের দল দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে সংরক্ষিত নথিপত্রের আলমারী ভেঙে সরিয়ে নেয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও নথি। এর আগে সরিয়ে ফেলে স্কুলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি)। এরপর তাণ্ডব চালিয়ে সরিয়ে নিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।

বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর স্কুলের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ সরাতে স্কুলের অফিসকক্ষে এ হামলা চালিয়েছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা।

এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি কে বা কারা ঘটিয়েছে অথবা কার স্বার্থে ঘটানো হয়েছে, কী উদ্দেশ্যে ঘটানো হয়েছে এবং এই ঘটনা থেকে কে বা কারা লাভবান হচ্ছে, এমন শত প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাধারণ অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মনে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

নেটিজেনরা বলছেন, অপসারিত প্রধান শিক্ষক নিজেকে বাঁচাতে তার অনুগতদের মাধ্যমে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যেন তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তকার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এবং তার লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অর্থলোপাটের ঘটনা ধামাচাপা দেয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের কর্মরত একজন শিক্ষক জানান, এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত কিংবা এর উদ্দেশ্য কী সেটা যেমন আমাদের কাছে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। তেমনি অন্য কারো কাছেও অজানা নয়।

তিনি সংঘটিত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রধান শিক্ষকের ইন্ধনে তারই আত্মস্বীকৃত দুষ্কর্মের সহযোগীরা যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে, এতে কোন সন্দেহ নেই।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবল চাকমা দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, রাতে স্কুলের অফিস কক্ষে হামলায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ঈদগাঁও থানার একজন উপ-পরিদর্শক ও একজন শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আগামী ১ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান ইউএনও।


আরো সংবাদ



premium cement