ছাত্র আন্দোলনে নিহত রুবেলের সন্তানের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি নেতা তারেক মুন্সী

দেবিদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলে গুলিতে নিহত রুবেলের সন্তানের দায়িত্ব নিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সী।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপরে নেতাকর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে নিহত রুবেলের ছেলে সন্তানের খোজ খবর নিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ উপহারসামগ্রী প্রদান করেন।

নিহত রুবেল দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা গ্রামের মরহুম রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উওর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ভিপি শাহীন, দেবিদ্বার উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনির নিজামী, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল হাই কায়সার ও মো: ফারুক, পৌর যুবদলের সভাপতি মো: শাহ জামান মুন্সী, সেচ্ছাসেবক দল মুসা সরকারসহ আরো অনেকে।

জানা যায়, আবদুর রাজ্জাক রুবেল ছিল দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাস চালিয়ে সংসার চালাতেন। তার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে, বাবার মৃত্যুর পর রুবেলই পরিবারে হাল ধরেছিল। বিয়ে করে হ্যাপী আক্তারকে, তাদের ছিল নৌফা নামের একটি ছয় বছরের মেয়ে। ঘটনার সময় তার স্ত্রী হ্যাপী আক্তার ছিল নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তারা আগেই আলটা সনোগ্রাফির মাধ্যমে জানতে পেয়েছিল ছেলে সন্তান হবে, তাই আগে ছেলের নাম রাইয়ান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখে ছিলেন রুবেল। স্বপ্ন দেখে ছিল একটি সুন্দর ও সুখি পরিবারের। কিন্তু রুবেলর সেই স্বপ্ন একটি গুলিতে নিবিয়ে দেয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।

রুবেলকে হারিয়ে গত একমাস দুর্বিষহ জীবন পার করছিল তার পরিবার। অবশেষে ছেলে সন্তানের জন্ম হওয়ায় পরিবারে আশার আলো জেগে ওঠে। তাই পুরো পরিবারে খুশি হলেও সংসার চালানোর চিন্তায় এখন পুরো পরিবার দিশেহারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছে নবজাতক ও তার মা সুন্থ আছে। এদিকে রুবেলের স্ত্রীর সিজার অপারেশন ও ওষুধপত্রের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী দেবিদ্বার উপজেলা শাখা।

উল্লেখ্য, ছাত্রজনতা আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দেবিদ্বার উপজেলা সদরে ছাত্র জনতার ওপর আক্রমণ চালায় আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীরা। ওই সময় দেবিদ্বার আজগর আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পৌর সেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রুবেলকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার করে। এ ঘটনায় পরিবার ও দলীয়ভাবে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। নিহত রুবেল দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা গ্রামের মরহুম রফিকুল ইসলামের ছেলে।