২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না : নুরুল ইসলাম বুলবুল

লক্ষ্মীপুরে পথসভায় বক্তব্য রাখছেন মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘শকুনেরা বাংলাদেশকে আবারো চক্রান্তের বেড়াজালে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এ জন্য সবাইকে জাগ্রত থাকতে হবে। কোনো চক্রান্ত বাংলাদেশে আর বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না।’

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় জামায়াত ইসলামী আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন যায়গায়, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার দোসররা, পরাজিত শক্তি দোসররা লুকিয়ে আছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যেখানেই বিপর্যয়, যেখানেই সঙ্কট, সেখানেই জামায়াতে ইসলামী সমস্যা সমাধানের জন্য হাজির হয়ে যায়। জামায়াতে ইসলামী জনগণের সাথে আছে এবং থাকবে। আওয়ামী লীগ রাজাকার রাজাকার করেছে, আর ছাত্র সমাজ রাজাকারকে অহংকারের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে স্বৈরাচারকে ছুঁড়ে ফেলেছে।’

বিশেষ অতিথি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে শেখ হাসিনা শুধু নিষিদ্ধই হননি, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাবা ছিলেন কম্বল চোর, আর তার মেয়ে শেখ হাসিনা টাকা চোর। শেখ হাসিনা খুনি, সে তার হাতকে রক্তে লাল করেছে। এ জন্য সে বাংলাদেশের জমিনে থাকতে পারেনি। বাংলাদেশের মাটিতে কোনোদিন আর তার জায়গায় হবে না। লক্ষ্মীপুরের গরিবের ডা. হিসেবে খ্যাত ডা. ফয়েজকে যে আওয়ামী প্রশাসন ক্যাডাররা হত্যা করেছে, অচিরেই তাদের বিচার করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জামায়াত ইসলামী তৈরি করে দেশের সূর্যসন্তান ছাত্রশিবির, আর আপনারা (আওয়ামী লীগ) তৈরি করেন সন্ত্রাসীদের গডফাদার। একের পর এক ব্যাংক ডাকাতি ও শেয়ার বাজার লুট করেছেন। গত ৫ আগস্টের আগ মুহূর্তে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের ট্রাম্পকার্ড দিয়ে আমাদের আন্দোলন নস্যাৎ করতে চেয়েছেন, কিন্তু পারেননি। এই দেশের ছাত্র-জনতা জামায়াত-শিবিরকে বুকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আপনাদের পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফেরেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদেরকে সেদিন নিষিদ্ধ করে প্রকৃতপক্ষে শেখ হাসিনা ওই আন্দোলনকে বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছেন। আর আপনি শুধু নিষিদ্ধ হননি, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।’

পথসভায় সভাপত্বি করেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াত ইসলামীর আমির এস ইউ এম রুহুল আমিন ভুইয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি সম্পাদক ড. রেজাউল করিম, মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো: দেলোয়ার হোসেন, লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এ আর হাফিজ উল্লাহ, সেক্রেটারি নূর নবী ফারুক, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ, মাওলানা নাসীর উদ্দিন মাহমুদ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল আলম মিরন, শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান, সেক্রেটারি মাওলানা জহিরুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবির লক্ষ্মীপুর শহর শাখার সভাপতি কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য আরমান পাটোয়ারী, শহর জামায়াত নেতা হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

সভায় আরো বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী দক্ষিণের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যাপক মোকারেম হোসেন, মো: কামাল হোসেন, শিবিরের সাবেক সভাপতি মহানগরী জামায়াত নেতা ড. মোবারক হোসেন, মহানগরী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন প্রমুখ।

পথসভা শেষে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে জামায়াত ইসলামী।


আরো সংবাদ



premium cement