২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লোহাগাড়ায় আসামিকে থানায় হস্তান্তর, ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলা, থানার দালালি, মিথ্যা-মামলা দিয়ে হয়রানি, চাঁদাবাজি, জমিদখলসহ অসংখ্য অপকর্মের অভিযোগ মাথায় নিয়ে ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে ছিলেন লোহাগাড়ার কলাউজানের চিহ্নিত যুবলীগ ক্যাডার সাইফুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে তিনটিরও অধিক মামলা রয়েছে।

সোমবার ভোরে তাকে কলাউজানের বাহাদুর পাড়া থেকে আটক করে স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে, তিনি বিগত এক যুগ ধরে বিরোধী দল-মতের মানুষের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন। পরে তাকে রশি দিয়ে লোহাগাড়া থানায় হস্তান্তর করে থানার সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এরই মধ্যে টাকার বিনিময়ে সাইফুলকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ও সাইফুলের দ্বারা গত এক যুগ ধরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ লোহাগাড়া থানা ঘেরাও করার ঘোষণা দেয়।

এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘সকালে কলাউজানের জনসাধারণ খবর দেয়, আসামি সাইফুলকে আটক করা হয়েছে। তারা তাকে থানায় নিয়ে আসছে। এর মধ্যে আমি বাসা থেকে থানায় আসতে আসতে আবার সাইফুল চলে গেছে। এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আমি ঊর্ধ্বতন মহলে রিপোর্ট করেছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আসামি সাইফুলকে গ্রেফতার করতে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এদিকে, এই রিপোর্ট লেখার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা থানায় অবস্থান করছে এবং পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাইফুলকে আটক করতে না পারলে কর্মসূচি দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে তারা।

স্থানীয়রা জানান, গত ১০ বছর এই সাইফুলের জ্বালাতনে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। কথায় কথায় মানুষকে পুলিশের ভয় দেখাতেন। পুলিশের সাথে গিয়ে পাড়ায় পাড়ায় বিরোধী দলের কর্মীদের দেখিয়ে দিতেন।


আরো সংবাদ



premium cement