মিরসরাইয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
- মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৫
ঢাকা থেকে ১৩ বন্ধুকে নিয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিফাতুর রহমান মজুমদার ঘুরতে আসেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায়। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজ হন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঝরনার কূপে তার লাশ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তা উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝরনা এলাকায় ঝরনার প্রতিটি ধাপে খুঁজেও সিফাতুরের সন্ধান মেলেনি। সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল তল্লাশি শুরু করে। দুপুরের দিকে ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সিফাতুরের সাথে ঘুরতে আসা বন্ধুদের মধ্যে অনিক চন্দ্র মোহন্ত জানান, তারা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঝরনা এলাকায় ঢোকেন। কিছুক্ষণ ঘুরেফিরে পাহাড়ের একটি স্থানে বন্ধুরা মিলে মদ-গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সেবন করে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে সিফাতুর নিখোঁজ হন। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খোঁজার পরও তার খোঁজ না মেলায় বিষয়টি তার পরিবারকে জানায় এবং পরে ওই দিন দিবাগত রাত ৮টার দিকে মিরসরাই থানা পুলিশের কাছে বিষয়টি জানায়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা ঝরনার কূপে-ঝোপে জঙ্গলে সবখানে দেখেও উদ্ধার করতে পারেনি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সিফাতুরের লাশ ঝরনার কূপের পানিতে ভেসে উঠলে বেলা ১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
নিহত সিফাতুর রহমান মজুমদার ঢাকার মিরপুর-১ এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। সে ইউনির্ভাসিটি অব ডেভলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দ্বীপ্তেশ রায় জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সিফাতুরের লাশ ফুলে গেছে। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। আপাদত এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
নিহত সিফাতুরের ভাই রিফাত উর রহমান মজুমদার ও মামাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার দাবি করেন, সিফাতুরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা