মুছাপুর রেগুলেটর পূর্ণ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন

ছোট ফেনী নদীর ওপর মুছাপুর নামক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৩ বোল্টের রেগুলটর পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর পূর্ণ নির্মাণের দাবিতে সোনাগাজীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে সোনাগাজীবাসী।

সোমবার সকালে সোনাগাজী পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, স্থানীয় সাংবাদিক জসিম উদ্দিন কাঞ্চনের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ইকবাল হোসেনের সঞ্চলনায় স্থানীয় জন-প্রতিনিধিরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জয়নাল আব্দীন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামছুদ্দিন খোকন, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাও. মোহাম্মদ মোস্তফা সেক্রেটারি মো: বদরুদ্দৌজা, পৌর আমির মাওলানা কালিমুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা হিজবুল্লাহ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ আটটি উপজেলার ঘর-বাড়ি ও কৃষি কৃষককে জোয়ারের লোনা পানি থেকে বাঁচাতে ভেঙ্গে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটরকে দ্রুত নির্মাণের দাবি জানান এবং দুর্নীতির মধ্যেমে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডর তৎকালীণ কর্মকর্তাদের দায়ী করে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্মাণের সময় ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ করা হয়েছিল। যার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে রেগুলেটরটি ভেঙ্গে পড়েছে। বারবার স্থানীয় জনগণের সমালোচনার মুখে তৎকালীন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়।

উল্লেখ্য, সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এবং নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সীমানায় ছোট ফেনী নদীর ওপর ২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ ভোল্টের রেগুলেটরটি নির্মাণ করা
হয়। সোনাগাজী ও নোয়াখালী এলাকার ১ দশমিক ৩০ লাখ হেক্টর জমির ফসলকে লবণাক্ততা থেকে সুরক্ষা এবং জোয়ারের পানি থেকে এ সমস্ত এলাকাকে সুরক্ষার জন্য জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুছাপুর ২৩ দরজা বিশিষ্ট রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সাম্প্রতি উজানের পানির ঢলে চাপে থাকায় গত ২৬ আগস্ট সকালে রেগুলেটরটি ভেঙ্গে গিয়ে স্থানীয় জনগনের মাঝে উজানের পানি নিয়ে উৎকণ্ঠা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।