আ.লীগ আমলে জামায়াত বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে
- ফেনী অফিস
- ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:০৫
আওয়ামী লীগ আমলে জামায়াত বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। রোববার দুপুরে ফেনীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ছাত্রসমাজের আন্দোলনের জলস্রোতে ফ্যাসিবাদের বাঁধ ভেঙে গেছে। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জনতা একাকার হয়ে গেছে। আন্দোলনের মুখে শুধু পদত্যাগ নয়, দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। যেই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে একাত্তরে স্বাধীন হয়েছি, সেটিও অর্জন হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী এই সংগ্রাম কোনো দল বা কোনো নেতার নেতৃত্বে হয়নি, ছাত্ররা করেছে।
তিনি বলেন, বিগত চারটি নির্বাচনে ভোট না হওয়ায় ফ্যাসিবাদ জন্ম নিয়েছে। জামায়াত ইলেক্টোরাল রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যেগুলো নির্বাচন নামে প্রহসন ছিল, সেগুলো জামায়াত বয়কট করেছে।
তিনি আরো বলেন, এবারেন বন্যাটি অপ্রত্যাশিত ও মানবসৃষ্ট। প্রতিবেশী দেশ ভালোবেসে বেশি পানি দিয়েছেন। এটা আমরা হজম করতে পারিনি। ভারত আমাদের কল্যাণকামী হতে পারতো। পানি ব্যবস্থাপনা পাকিস্তান আমলেও সমাধান হয়নি। বাংলাদেশ সরকারও পারেনি। বর্তমান দেশপ্রেমিক সরকার ভারতের সাথে আলোচনা করে এটা সমাধানের দাবি জানাই। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সমতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক করতে চাই। রাজনৈতিকভাবে ভারত একটি দল সাপোর্ট করায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে দলটির জেলা আমির এ কে এম শামছুদ্দীনের পরিচালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে ছিলেন কুমিল্লা মহানগর আমির দ্বীন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমির আবু ইউসুফ, সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হান্নান, প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম, রাজনৈতিক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক মানিক, ছাত্র শিবিরের শহর সভাপতি শরীফুল ইসলাম, সেক্রেটারি ওমর ফারুক, জেলা সভাপতি ইমাম হোসাইন প্রমুখ।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল জামায়াত উল্লেখ করে সাবেক সংসদ সদস্য ডা: তাহের আরো বলেন, অন্যায়ভাবে জামায়াতের সকল নেতাকে ফাঁসি দিয়েছে। আদর্শিক দল হিসেবে প্রতিশোধ নেয়া প্রয়োজন মনে করি না। বিডিয়ার বিদ্রোহে সেনা অফিসার, শাপলা চত্বরে ওলামা, সর্বশেষ ৪ আগস্ট গণহত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশে আর কোনো অপরাধ হতে দেবেন না। কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। দলীয় ও ব্যক্তি সার্থকে পরিহার করে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জামায়াত মালিক-চাকরের পরিবেশ দূর করতে চায়।
ছাত্রশিবিরের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন যে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন হবে। অন্তবর্তী সরকার প্রতিটি বিষয়ে সংস্কারের কথা বলছেন। মৌলিক কিছু বিষয়ে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। হিন্দুদের বহু সম্পদ অন্যের হাতে চলে গেছে। এরা কারা, খোঁজ নেবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা