১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

নোয়াখালীতে বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি

নোয়াখালীতে বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি - ছবি : নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীতে বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটেছে। ভারত থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানি ও ভারী বর্ষণে জেলা শহর মাইজদী, নোয়াখালী পৌর সভা ও জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী শহরসহ জেলার আটটি উপজেলার প্রায় শতভাগ বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।

এরইমাঝে গত সপ্তাহে চারদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। কিন্ত সোমবার রাত থেকে ভারি টানা বর্ষণ শুরু হয়। এতে বাড়ি ঘরে পানি বৃদ্ধি পায়।

নোয়াখালী আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ মিলি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

জেলার কোথাও কোনো আশ্রয় কেন্দ্র নেই। বন্যার্তরা কিছুসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়। অধিকাংশ মানুষ রয়েছে গ্রামে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ত্রাণ সামগ্রী তাদের দেয়া যাচ্ছে না। শুধু প্রধান সড়কের পাশে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সাহায্য দিচ্ছে। গ্রামে বসত বাড়িতে থাকা লাখ লাখ মানুষ সাহায্য পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে খাদ্যের সঙ্কট দেখা দেয়। এসব মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বিশুদ্ধ পানি সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

এদিকে জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিত মানুষকে সাপে কেটেছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, বন্যার কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১২৮ জন। এ ছাড়া গত চার দিনে নোয়াখালীতে ৬৩ জনকে সাপে কেটেছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৮জনকে সাপে কেটেছে।

এ দিকে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ অন্ধকারে রয়েছে। ফলে মানুষ সাপে কাটার আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছে। নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জাকির হোসেনকে ফোন করা হয়। কিন্ত ফোন রিসিভ না করার তার মতামত নেয়া সম্বব হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement