বুড়িচংয়ে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
- হাবিবুর রহমান চৌধুরী, কুমিল্লা
- ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৪
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে বুড়িচং উপজেলার ৫ ইয়নিয়নের অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে পানি বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপরে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে যায়।
ভাঙন এলাকার পাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাতে বাঁধ ভাঙার কারণে অধিকাংশ লোকজন ঘর বাড়িতে আটকা পড়েছে। জেলা সদরের সাথে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশরী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জমান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ওই স্থানের নিচ দিয়ে পানি বের হচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু রাত পৌনে ১২টার দিকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। শুক্রবার সকালে প্রায় ৬০ ফুটের মতো বাঁধ ভেঙে যায়, তবে পানি বের হওয়ার সাথে সাথে ভাঙার পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ছিল ১৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে। শুক্রবার সকালে বিপৎসীমার ১২৯ সেন্টিমিটার ওপরে।
বুড়িচং উপজেলার প্লাবিত গ্রামগুলো হলো বুড়বুড়িয়া, খাড়াতাইয়া, নানুয়ার বাজার, কিং বাজেহুরা, মিথিলাপুর, শিকারপুর, মহিষমারা, ইছাপুরা, পয়াত, গাজীপুর, কণ্ঠনগর, মাওরা, গোপীনাথপুর, জগৎপুর ও গোসাইপুর।
মহিষমারা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে তিন শতাধিক মানুষ আশ্রয় নেয়। স্কুলটির নিচতলা পানিতে ডুবে যায়। রোটারিয়ান আবদুল্লাহিল বাকি তার সাথে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে স্পিডবোটের মাধ্যমে আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারের কাজ করছেন।
বুড়বুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সংবাদকর্মী গোলাম কিবরিয়া জানান, তার বাড়িঘর সব পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুড়িচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, ভোরে ভাঙন এলাকা দিকে রওনা দিয়ে রাস্তা থেকে ফিরে আসতে হয়েছে। প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন সংগঠন, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা