১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩০, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

ঢাকায় গুলিবিদ্ধ শিবলুর লাশ ফেনীতে দাফন

আবু বকর ছিদ্দিক শিবলু - নয়া দিগন্ত

চার দিন অজ্ঞান থাকার পর ঢাকার আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আবু বকর ছিদ্দিক শিবলু। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের সময় গত মঙ্গলবার আবদুল্লাহপুর রেলগেট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

জানা গেছে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে মারা গেলে বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ি ফেরেন বড় ভাই আবদুল হাকিম বাবলু, স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার রিমাসহ স্বজনরা। ওই দিন রাতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁনপুর এলাকায় তাকে দাফন করা হয়

গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, শিবলু দক্ষিণ চাঁনপুর এলাকার ওছি উদ্দিন ভূঞা বাড়ির মৃত আবুল হাসেমের ছোট ছেলে। তার বড় ভাই বাবলু ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। ঢাকায় এলিট পেইন্টের সহকারী হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত থাকার সুবাদে গত প্রায় চার বছর ধরে উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টর এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন শিবলু। দুই শিশু সন্তানের একজন ফারহান ছিদ্দিক (৮ বছর) ও নুসাইবা ছিদ্দিক (১০ মাস)। ফারহান উত্তরা এলাকায় স্থানীয় একটি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।

বাড়ির সামনে বসেই কথা হয় আবদুল হাকিম বাবলুর সাথে। প্রথমেই তার মোবাইল ফোনে থাকা একটি ছবি দেখালেন। প্রথম ছবিতে রয়েছে ছেলে ফারহানের সাথে গ্রামের বাড়িতে পাঞ্জাবি পরা হাস্যোজ্জ্বল শিবলু। আরেকটিতে রয়েছে কফিনবন্ধী। মাথার পাশে কানের উপর বিদ্ধ গুলির চিহ্ন দেখা যায়।

শিবলুর স্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বাবলু বলেন, ‘ঘটনার দিন গত ২১ জুলাই রোববার বিকেলে ছেলে ফারহানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় শিবলু। সেখানে আবদুল্লাহপুর রেলগেটে হাঁটাহাঁটির পর দু’জনে বসা ছিল। তখন গোলমাল শুরু হলে বাসায় যেতে ছেলেকে নিয়ে উঠে দাঁড়ালে শিবলু গুলিবিদ্ধ হয়। আশপাশের লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক আগারগাঁও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে পাঠায়। রিমার কাছ থেকে খবর পেয়ে ঢাকায় ছুটে যাই। ভাইকে বাঁচাতে তার শরীরে চার ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।’

বাবলু বলেন, ‘মঙ্গলবার তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ততক্ষণে ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু একটু একটু করে শিবলুর আঙ্গুল নড়ে উঠায় সবার মধ্যে আশা জেগে উঠে। বুধবার সন্ধ্যার পর ওই নড়াচড়াও থেমে যায়। একপর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

বাবলু আরো বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শিবলুর আর জ্ঞান ফেরেনি। এ কারণে তার কাছ থেকে কোনো কিছুই জানতে পারিনি। ওই দিন পূর্ব উত্তরা থানায় সংঘর্ষ হলেও অপরপ্রান্তে দক্ষিণখান থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয় শিবলু। উভয় থানায় শরণাপন্ন হয়েও কেউ মামলা নেয়নি। এ কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একমাত্র ভাইটিকে দাফন করা হয়।’

ইয়াকুবপুর ইউপি মেম্বার জয়নাল আবদীন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে শিবলুর লাশ গ্রামের বাড়ি আনা হয়। সেখানে স্বজনদের আর্তনাদে শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রাত ১০টায় বাড়ির সামনে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
গজারিয়ায় বজ্রপাতে স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য হাসিনা এত মানুষ হত্যা করেছে, যা ইতিহাসে নেই’ আমি রেজাল্ট চাই না, আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই : শহিদ সবুজ মিয়ার মা ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জয়খরা ঘুচাল পাকিস্তান যেভাবে শহিদ হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ হতে পারে নতুন মুখ! শুক্রবার ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছাত্র অসন্তোষের জেরে পাঞ্জাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাশিয়াকে সমর্থন প্রশ্নে বেইজিংকে ‘চ্যালেঞ্জ’ করতে চীনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়া মানে অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়া : ভারতকে রিজভী রিপাবলিকান-সমর্থিত নির্বাচনী বিধি বাতিলের রায় জর্জিয়ার বিচারকের

সকল