০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ২৭ সফর ১৪৪৬
`

কোটা সংস্কার আন্দোলন : শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষে ফেনী রণক্ষেত্র

পুলিশের অ্যাকশন - ছবি : নয়া দিগন্ত

কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মুখোমুখি সঙ্ঘর্ষে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ রাত ৭টা পর্যন্ত চলে। এ সময় ট্রাংক রোড থেকে লালপোলগামী সড়কে যানচলাচল ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে শহরের সেন্ট্রাল হাই স্কুলের সামনে থেকে কোটা সংস্কারের দাবী ও বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় বিচার দাবীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ট্রাংক রোডের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় তারা বড় মসজিদের সামনে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে লাঠিচার্জ করলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে মিছিলকারীরা তাকিয়া রোড থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আসর নামাজ শেষে বড় মসজিদ থেকে মুসল্লীরা বের হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভূয়া ভূয়া’ শ্লোগান দিলে পুলিশ পিছু হটে প্রেস ক্লাবের সামনে চলে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। কিছুক্ষণ পর বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আন্দোলনকারীরা পিছু হটে।

জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা জানান, কোটা আন্দোলনের নামে মিছিলকারীরা বিনাউস্কানীতে পুলিশের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুলি গণনা করা হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement