রেমালে বিধ্বস্ত নিঝুমদ্বীপের সেই লুবনা নতুন ঘর পেলেন
- হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা
- ১০ জুলাই ২০২৪, ১৪:১০
অবশেষে নতুন একটি টিনের ঘরে ঠাঁই হলো ঘূর্ণিঝড় রেমালে বিধ্বস্ত লুবনা বেগমের (২৯)। আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেমালে বিধ্বস্ত তার ঘরটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে পুনর্নির্মাণ করে দেয়।
আজ বুধবার আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট লুবনা বেগমের ঘরটি সম্পূর্ণ নতুন করে নির্মাণ করে দেয়। নির্মাণ কাজ শেষে আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিটের সমন্বয়কারী জাবের উদ্দিন ও মাকসুদুর রহমানসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত থেকে লুবনার কাছে ঘরটি হস্তান্তর করেন। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ঘরটিতে প্রবেশ করে লুবনা বলেন, অনেক যন্ত্রণা ও কষ্টের পর সমাজের মানবিক মানুষেরা একটি নতুন ঘর করে দিয়ে আমাকে মানসিক শান্তি দিয়েছেন। আমি নামাজ পড়ে আল্লাহ কাছে তাদের জন্য দোয়া করব। এসকল মানবিক ভাইদের কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় নিঝুমদ্বীপের লুবনা বেগমের বসত ঘরটি। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী এক মাসের বেশি সময় ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পড়ে থাকা এবং এর মধ্যে এক অমানবিক জীবন যাপনের চিত্র দৈনিক নয়া দিগন্ত ও অন্যান্য জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট সেই ঘরটি পুনর্ণিমান করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিটের চেয়ারম্যান আশেক সুলতান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে নিঝুম দ্বীপের লুবনা বেগমের ঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। এই কঠিন সময়ে আলোকবর্তিকা মানবিক ইউনিট লুবনা বেগমের পাশে দাঁড়ায় এবং তার ঘর পুননির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
‘মানবিক ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা আজমির হোসেনের নেতৃত্বে প্রকল্পটি পরিচালিত হয় এবং সরাসরি কাজের দায়িত্ব পালন করেন ফয়েজ উদ্দীন ও মাকছুদুর রহমান। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রমের ফলে লুবনা বেগমের ঘর পুননির্মাণ সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি যারা অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে ঘরটি পুননির্মাণ করতে সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনই প্রকৃত মানবতা’- এই বিশ্বাসে উজ্জীবিত হয়ে আমরা ভবিষ্যতেও এমন মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার স্থানীয় ইউপি মেম্বার চাঁন মিয়া, আলোকবর্তিকার মানবিক ইউনিটের সমন্বয়কারী সদস্য মো: ফয়েজ উদ্দিন মো: মাকসুদের রহমান, মো: খাদেমুল ইসলাম বিপ্লব, আহসানুল করিম জুনায়েদ, মো: আজাদ উদ্দিন, কাওসার উদ্দিন, মো: আজিম উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, আবদুর রহমান ও আশিক এলাহীসহ এলাকার ব্যক্তিবর্গ।