০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১ মহররম ১৪৪৬
`

উখিয়ায় ভারী বর্ষণে ৪০ গ্রাম প্লাবিত

- ছবি - ইন্টারনেট

উখিয়ায় পাঁচ দিন টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে কমপক্ষে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চার হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গ্রামীণ সড়ক লণ্ডভণ্ড হয়েছে। কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গাছপালা এবং পানের বরজ ও চিংড়িঘের নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া, ঘাটঘর পাড়া, পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া, ডেইলপাড়া, মনখালী, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি, নলবুনিয়া, খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলার পাড়া, মনির মার্কেট, পাগলির বিল, রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া, তুতুরবিল, হিজলিয়া, পিনজিরকুল, রত্নাপালং ইউনিয়নের সাদৃকাটা, পশ্চিম রত্না, বড়ুয়া পাড়া, খোন্দকারপাড়া, গয়ালমারা, ও পালংখালী ইউনিয়নের রহমতেরবিল, থাইংখালী, বালুখালী, তেল খোলা, আন্জুমানপাড়া, ফারিরবিলসহ কমপক্ষে ৪০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চার হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া, লম্বরি পাড়া, ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েক শ’ পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে।

শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, রত্নাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তাটি মেরামতের অল্প সময়ের মাঝে গর্তে পানি জমে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের মারাত্নক অসুবিধা হচ্ছে। এছাড়া অসংখ্য ঘরবাড়ি, গাছপালা, পানের বরজ ও চিংড়িঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, রুমখা চৌধুরী পাড়া, বড়বিল, মনির মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবজি ক্ষেতসহ আমন মৌসুমের বীজতলা পানিতে ভেসে গেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে পানি ঢুকে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তানভীর হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেন তিনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য মাইকিংসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement