আয়ের পথ দেখাচ্ছে ড্রাগন ফল চাষ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:০৬
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা একটি নিচু এলাকা। সচারাচর এলাকার কৃষকরা জমিতে ধানের পাশাপাশি কেউ কেউ সবজি চাষ করে থাকেন। কিন্তু ব্যতিক্রম মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ। তিনি শখের বসে চাষ করছেন ড্রাগন ফল। তার এ ড্রাগন চাষে বর্তমানে আয়ের পথ দেখাচ্ছে অন্যদের। তার দেখাদেখি ড্রাগন ফল চাষ শুরু করছেন অনেকেই। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ড্রাগনের চাষ পদ্ধতি জেনে নিচ্ছেন।
সরেজমিনে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশের বাগানে ঘুরে দেখা যায়, চারদিকে সবুজের সমারোহ। প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতার প্রতিটি কংক্রিটের খুঁটি পেঁচিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগন ফলের গাছ। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ১৫ থেকে ২০টি করে কাঁচা, পাকা ও আধা পাকা ড্রাগন ফল।
বাগানে কর্মরত শ্রমিক জলিল বলেন, তিন বছর আগে নিজের ৩০ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে ৫৫ টাকা করে ছয় শ’টি ড্রাগন ফল গাছের চারা এনে রোপণ করেন। চার মাসেই গাছে ফল আসে। প্রথমবার প্রতিটি গাছে চার থেকে পাঁচটি ফল এলেও এ বছর দ্বিতীয়বারে প্রতিটি গাছে ১০ থেকে ২০টি ফল আসছে। ওই একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে আম, পেঁপে ও লেবু গাছ। বর্তমানে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল বাগান থেকে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, এর বাজার মূল্য রয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন পলাশ বাসসকে জানান, ড্রাগন ফল চাষ একটি লাভজনক ফল চাষ। অল্প পুজিতে এটি চাষ করা যায়। আমি এক বছর আগে শখের বসে ৩০ শতাংশ জমিতে ছয় শ’ চারা রোপণ করি। ইনশা আল্লাহ গত দুই বছরের মতো এ বছরও পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের চাহিদা পূরণ করেও কয়েক লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। তাই চিন্তা করছি, এ বছর ড্রাগন ফলের চাষ আরো বাড়াব। কারণ বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা অনেক এবং ফলটি বেশ রসালো ও সুস্বাদু।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বাসসকে জানান, সব ধরনের মাটিতে ড্রাগন চাষ হয়। তবে উঁচু জমিতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তিন মিটার পর পর গর্ত করে চারা রোপণ করতে হয়। বছরের যে কোনো সময় চারা রোপণ করা যায়। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হলে ভালো। বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস চাষিদের উৎসাহিত করছে।
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা