০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫
`

বরইতলী গ্রাম আদালতে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

বরইতলী গ্রাম আদালতে হামলা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ - ছবি : নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চলাকালীন সময়ে দুইপক্ষের মারামারিতে আদালতের এজলাস কক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র, বিভিন্ন সালিশী মামলার নথিপত্র তছনছ ও ভাঙচুর হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) রাতে এ নিয়ে চকরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের পহরচাঁদা গ্রামের রিনা আক্তার আকবর হোসেন ও এনামুল হক গংয়ের বিরুদ্ধে পরিষদে একটি অভিযোগ দেন। এরপর নিয়মানুযায়ী নোটিশ দিয়ে বাদি ও বিবাদীপক্ষকে সালিশকার নিয়োগ দিতে বলা হয়। কিন্তু বিবাদীপক্ষ সালিশকার নিয়োগ না দিয়ে দ্বিতীয় কার্যদিবস তথা গত ২৩ জুন গ্রাম আদালত চলাকালে উপস্থিত হন। বেলা দেড়টার দিকে এ অভিযোগটি নিয়ে শুনানী করার সময় বাদি তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় কটুক্তিমূলক বিভিন্ন কথাবার্তা ছুঁড়ে দিয়ে বিবাদীপক্ষ ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। ওই মুহূর্তে এজলাসে বসে থাকা চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান উভয়পক্ষকে সংযত আচরণ করার নির্দেশ দেন। তখনই ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না মর্মে হৈ চৈ শুরু করে বাদীপক্ষের লোকজন। এ বলে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলমগীর, গ্রাম পুলিশ রিদুয়ানসহ বেশ কয়েকজনের ওপর হামলা করে বিবাদীপক্ষ। তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও বিবাদীপক্ষের লোকজন গ্রাম আদালতের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর, বিভিন্ন নালিশী অভিযোগের নথিপত্র তছনছ করে। এমনকি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশে করে গালিগালাজও করা হয়।

এ সময় রিদুয়ান নামের এক চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ), স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) আলমগীর ছাড়াও বাদীপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে গ্রাম আদালত বন্ধ করে দেন। তাত্ক্ষণিক বিষয়টি মৌখিক ও পরে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন চেয়ারম্যান মো: ছালেকুজ্জামান। এ ঘটনায় আজ শনিবার রাতে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। হামলার সময় আহত পরিষদের গ্রাম পুলিশ রিদুয়ান থানায় এই অভিযোগ জমা দেন।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী সদস্য খালেদা বেগম বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত চলাকালে বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড অতীতে আর কেউ ঘটানোর সাহস করেনি। এ ধরণের ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতকে অবজ্ঞা ও অসম্মান করার মতোই। চেয়ারম্যান ছালেকুজ্জামান বাদী-বিবাদীপক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এরপরও একটি কুচক্রিমহল চেয়ারম্যানকে ঘায়েল করার জন্য পরিষদের গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement