কুমিল্লায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন
- বুড়িচং (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ২৬ জুন ২০২৪, ১৮:৪০, আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ১৮:৪৭
কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়ায় সালিসকারী নুরুল হক হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো: জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুমিল্লা ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার ছোট ধুশিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো: মাছুম (৩৫), মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে তাজুল ইসলাম (৩২), আবুল কাশেমের ছেলে মো: মোস্তফা (২৪), ডা. মনু মিয়ার ছেলে মো: কাইয়ুম (২৫), আবদুল ছাত্তারের ছেলে মো: কাইয়ুম (২৮), মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো: তবদুল হোসেন (৪০)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুমিল্লা ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার ছোট ধুশিয়া গ্রামের মৃত ওয়াব আলীর ছেলে মো: নান্নু মিয়া (৪০), মৃত আলী মিয়ার ছেলে আব্দুল মতিন মিয়া (৪০), মৃত আব্দুল খালেক সাইদুল ইসলাম (২৪), সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বাবুল মিয়া (২৫), মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৫), মৃত নায়েব আলীর ছেলে মো: মোসলেম মিয়া (৪৫), নান্নু মিয়ার ছেলে মো: সফিকুল ইসলাম (২৮), মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে মো: হেলাল মিয়া (২৫), সরু মিয়ার ছেলে মো: আউয়াল মিয়া (৩০) ও মৃত আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩০)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট দুশিয়া এলাকার ফরিদ মিয়ার সাথে একই এলাকার মাছুমের দীর্ঘদিনের সম্পত্তি নিয়া বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় নুরুল হকের নেতৃত্বে কয়েকবার সালিস বৈঠক হয়। সালিস বৈঠকে ফরিদ মিয়ার ভিটাবাড়ি মাছুম মিয়ার দখল থেকে ফরিদ মিয়াকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তিনি রায় দেন। এরপর থেকেই আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ভয়-ভীতিসহ হুমকি দিচ্ছিলেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি কুমিল্লা শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে সবজুপাড়া শিদলাই রোড এলাকায় মাছুমের পক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করে। মাছুমের লোহার বল্লম দিয়ে নুরুল হকের বুকে চারটি আঘাত করেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাছুমের পক্ষের লোকজন নুরুল হকের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন তার ছেলে মো: শরিফুল ইসলাম একই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মাছুম মিয়াসহ ২২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনের নামে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। আজ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায় ঘোষণাকালে আসামি মো; কাইয়ুম, মো: তবদুল হোসেন, নান্নু মিয়া, মতিন মিয়া, বাবুল মিয়া, সফিকুল ইসলাম, মোসলেম মিয়া, সফিকুল ইসলাম, মো: হেলাল মিয়া ও মো: আব্দুল আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। তারা হলেন হিরণ মিয়া ও মনিরুল ইসলাম। এ ছাড়া মামলা চলাকালীন ফুল মিয়া ও সেলিম নামের দুই আসামির মৃত্যু হলে আদালত মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মো: জাকির হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করা হবে।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল মুমিন ফেরদৌস জানান,‘আমরা ন্যায় বিচার পাইনি, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা