সীমান্তবাসীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে মিয়ানমার
- হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)
- ২৩ জুন ২০২৪, ১৪:২৫
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের দুই পক্ষের চলমান সঙ্ঘাত যেন শেষ হচ্ছে না। দিন দিন বাড়ছে যুদ্ধের তীব্রতা। আগের চেয়ে আরো বহুগুণ বেড়ে গেছে বলে মনে করছে সীমান্তবাসী। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে থেমে নেই মর্টারশেল, গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণ। শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিক্ষেপ করা মর্টারশেল ও ভারী বোমার বিস্ফোরিত বিকট শব্দগুলো ভেসে আসছে এপারের সীমান্তে। এতে থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে রোববার সকালেও শব্দ শোনা গেছে। সীমান্তবাসীদের ঘুম যেন কেড়ে নিয়েছে মিয়ানমারের এই সংঘর্ষ।
কয়েকদিন ধরে টানা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে। টেকনাফ উপজেলার পৌরসভা, সদর সাবরাং হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। পাশাপাশি এ সমস্ত এলাকায় বসবাসকারী নারী, শিশু, কিশোরদের মাঝে সবচেয়ে বেশি ভয়, ভীতি আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি ওসমান বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘর্ষের তীব্রতা আগের চেয়ে বেড়েছে। হঠাৎ করে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির থেমে থেমে দীর্ঘ সময় ধরা চলা সঙ্ঘাতে রাখাইনে অনেক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ নিহত হয়েছে।
সীমান্তে বসবাসরত লোকজন জানান, মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধ কবে নাগাদ শেষ হবে জানা নেই। তবে আমরা সব সময় উৎকণ্ঠায় থাকি। বলতে গেলে, আমাদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।
জয়নাল আবেদীন নামে স্থানীয় একজন বলেন, প্রচণ্ড শব্দে ঘুম আসে না। গতকালও সারারাত ঘুমাতে পারিনি। গভীর রাতে বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে। ভয়ে ভয়ে রাত যাপন করি। এমনিভাবে থাকা যায় না। আমরা এখানে মরে গেলেও কেউ খবর রাখে না। বৃদ্ধ মা-বাবা ও সন্তানদের ভয় দেখে চিন্তিত হয়ে পড়ি।
টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, মিয়ানমারের চলমান সঙ্ঘাতে কেউ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছে বিজিবি। সীমান্ত সুরক্ষায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের দু’পক্ষের গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে। এতে সীমান্তে বসবাসরত লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছে সরকার।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা