টেকনাফে পানিবন্দী অর্ধলাখ লাখ মানুষ
- হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া
- ১৯ জুন ২০২৪, ১৮:০৮
কক্সবাজারের টেকনাফে মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকায় ৪টি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
জানা যায়, অতিবৃষ্টির ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কানজর পাড়া উলুবনিয়া, উনচিপ্রাং, সাতঘড়িয়া পাড়া, হারাংখালী হ্নীলা ইউনিয়নের সৈছদ নুর পাড়া, সুলিশপাড়া, পূর্ব সিকদারপাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়ারাং, চৌধুরী পাড়া, রঙিখালী লামার পাড়া, বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিম পাড়া, টেকনাফ পৌরসভার এলাকা বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমির নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উনচিপ্রাং, রইক্ষং, কানজরপাড়া, উলুবনিয়া, সাতঘড়িয়া পাড়া ও হারাংখালী এলাকা অতি বৃষ্টিরর ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সময় অনেক ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে। আমি এসব এলাকা পরিদর্শন করেছি।’
হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে আমার ইউনিয়নের সৈছদ নুর পাড়া, সুলিশ পাড়া, পূর্ব সিকদার পাড়া, মৌলভী বাজার, ওয়াব্রাং, চৌধুরী পাড়া, রঙিখালী লামার পাড়া, পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পানিববন্দী হয়ে পড়েছেন। খাল দখলের কারণে বৃষ্টির পানি সরতে না পারায় তাদের বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেছে। পানি নিস্কাশনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
বাহারছড়া শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উত্তর শিলখালী, নতুন বাজার, পশ্চিমপাড়া, এলাকা বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। মাটির ঘর ভেঙে গেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, টানা বৃষ্টিতে স্থানীয়দের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের শুকনো খাবার দেয়া হবে। তাছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা