১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হাতিয়ায় আবারো চেতনানাশক প্রয়োগ করে ঘর লুট

হাতিয়ায় আবারো চেতনানাশক প্রয়োগ করে ঘর লুট - ছবি : নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীর হাতিয়ায় সপ্তাহ না যেতেই আবারো বসতঘরে চেতনানাশক দ্রব্য প্রয়োগে ঘরের স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। এবারের শিকার হাতিয়া পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহেদ দম্পতি।

এর আগে উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের নন্দরোড এলাকায় শাহে আলমের বাতিতে চেতনানাশক স্প্রে করে লুট করার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পৌরসভা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছৈয়দিয়া বাজারের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে আহছানুল কবির সাহেদ ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার শম্পা বাড়িতে একাই থাকতেন। সোমবার দিবাগত রাত প্রায় ১০টায় যথারীতি তারা রাতের খাবার খেয়ে ঘরে শুয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে পাশ্ববর্তী কাজের মহিলা তাদেরকে ডাকতে থাকে। বেলা হয়ে গেছে অনেক। তারপরও না উঠতে দেখে কাজের মহিলা খোলা জানালা দিয়ে ডাকাডাকি করতে দেখে যে শাহেদ ও তার স্ত্রী শম্পা বেহুঁশ হয়ে এলোমেলো পড়ে আছে। এমতাবস্থায় সে চারিদিক থেকে আত্মীয় স্বজনদের ডেকে আনে। তারা দেখে যে ঘরের দরজা খোলা এবং আলমারি, সুটকেস, শোকেইছের সব জিনিসপত্র তছনছ হয়ে আছে। গৃহকর্তা সাহেদ ও তার স্ত্রীর শারীরিক চেতনা না ফেরায় তাদের দ্রুত হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। কিন্তু অজানা চেতনা নাশক দ্রব্যের প্রভাবে অসুস্থতা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সাকিব বিন মহিউদ্দিন জানান, এটি একটি অজানা বিষক্রিয়া। রোগীর যেকোনো মুহূর্তে আইসিইউ’র প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তাই আমরা দ্রুত তাদের জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।

হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিসান আহমেদ জানান, ঘটনা শুনে সরোজমিনে দেখতে এসেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রাতের খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য প্রয়োগ হতে পারে। দুস্কৃতিকারীদেরকে বিভিন্ন (প্রযুক্তির) উপায়ে আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ শুরু করছি। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement