১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মিরসরাইয়ে শিশু ওয়াসিম হত্যায় ২ ভাইয়ের একজনের মৃত্যুদণ্ড, অন্যজনের যাবজ্জীবন

শিশু কাজী মশিউর রহমান প্রকাশ ওয়াসিম - ছবি : সংগৃহীত

 

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের আলোচিত শিশু কাজী মশিউর রহমান প্রকাশ ওয়াসিম হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আরেক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক।

রোববার (৯ জুন) চট্টগ্রামের ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: রবিউল আউয়াল এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামের কাজী বাড়ির ফজলুল কবিরের ছেলে কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন- পল্লবের ভাই কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব।

হত্যার শিকার শিশু ওয়াসিম মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামের কাজী বাড়ির কাজী মোশাররফ হোসেন বাবলুর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর মিরসরাইয়ের মঘাদিয়া ভূঁইয়া গ্রামের কাজী বাড়ির কাজী মোশাররফ হোসেন বাবলুর ছেলে ৫ বছরের শিশু ওয়াসিমকে হত্যা করে বাড়ির পূর্ব পাশের ছনখোলায় ফেলে রাখে। আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব শিশু ওয়াসিমকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সিগারেটের আগুনের ছ্যাকা দিয়ে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করে বাড়িতে চলে যায়। পরে আসামির পরিবারের সদস্যরা ছনখোলা থেকে শিশু ওয়াসিমের লাশ বস্তাবন্দী করে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। শিশুটিকে না পেয়ে চাচা কাজী একরামুল হক মিরসরাই থানায় পরের দিন ২৩ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

ঘটনার পরদিন শিশুর বস্তাবন্দী লাশ ধান ক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবারের সদস্যদের দিয়ে শিশু ওয়াসিমের লাশ শনাক্ত করে। ঘটনাস্থল ছনখোলা থেকে আসামি পল্লবের মোবাইল ও শিশুটির স্যান্ডেল উদ্ধার করে হত্যাকারীকে শনাক্ত করে এবং পুলিশ পল্লবকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে। এ সময় পল্লব ওয়াসিমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। এ ঘটনায় শিশুর চাচা একরামুল হক একই বছরের ২৪ নভেম্বর মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আসামি পল্লব স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দী দেন। ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আসামি পল্লব, তার ভাই বিপ্লব ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পর মামলার বাদি, ডাক্তার, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষী দেন। গত ২৯ মে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, যুক্তিতর্ক শেষে মামলার বাদি, ডাক্তার, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ২১ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লবকে মৃত্যুদণ্ড এবং কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।

রায় প্রচারকালে আসামিরা জেলহাজতে থাকায় বিচারক তাদেরকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বলেও জানান তিনি।

শিশুর পিতা কাজী মোশাররফ হোসেন বাবলু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সাংবাদিককের বলেন, আমার আদরের সন্তান কাজী মশিউর রহমান ওয়াসিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আদালত হত্যাকারীকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন। এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে রায়টি যেন দ্রুত কার্যকর হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চট্টগ্রামে সাবেক এমপি মোতালেবসহ ২৪৮ জনের নামে মামলা চিন্ময়ের জামিন শুনানি জানুয়ারিতেই ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ১০ এপ্রিল ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৪৪ ধবলধোলাই এড়াতে ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ নববর্ষের প্রকাশনা ইসলামী শ্রমনীতির প্রচারে ভূমিকা রাখবে : শামসুল ইসলাম ‘শেখ হাসিনা দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে চায়’ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা ই-সিগারেটকে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত মহেশপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত

সকল