কক্সবাজারের বোরি বিচে পর্যটক প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা

কক্সবাজারে উদ্ভোধন হয়েছে নতুন একটি সমুদ্রসৈকত, নাম দেয়া হয়েছে বোরি বিচ। তবে এই সৈকতে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যেতে পারবে না স্থানীয় বাসিন্দারাও।

বোরি বিচ থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, থাকবে প্লাস্টিকমুক্ত। শুধু জীববৈচিত্রের নিরাপদ আবাসসস্থল হবে এই সৈকত।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখাল-সংলগ্ন উখিয়ার সোনারপাড়ায় এই সমুদ্রসৈকতের উদ্ভোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আলী হোসেন।

মূলত এই সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হবে। এ জন্য মিরিন ড্রাইভ সড়কের সোনারপাড়ায় দুই দশমিক ৯১ কিলোমিটার সৈকত বোরিকে বুঝিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এখন থেকে এই সৈকতের দেখভাল করবে বোরি। প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞানীরা সৈকতেই চালাবেন গবেষণা।

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলেন, ‘এই সমুদ্রসৈকত কেবল গবেষণার কাজে আমরা মডেল হিসেবে ব্যবহার করব। আমাদের পর্যটনের সাথে কোনো কনফ্লিক্ট (দ্বন্দ্ব) নেই। এই সৈকত শুধু জীববৈচিত্রের নিরাপদ আবাসস্থল হবে। এখানে কেউ এসে তাদের বিরক্ত করবে না। সৈকতটি থাকবে শতভাগ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং প্লাস্টিকমুক্ত। এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে বোরির।’

তিনি আরো জানান, সৈকতের পাশে যে মানুষগুলো বসবাস করে তারাও এতে উপকৃত হবে। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও এখানে সম্পৃক্ত করা হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আলী হোসেন বলেন, ‘বোরি বিচ সমুদ্রবিষয়ক গবেষণার একটি মডেল হবে। এখানে কিভাবে গবেষণার কাজ চলবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে মহড়ার আয়োজন করতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিন অ্যাফেয়ারস ইউনিটের সচিব খুরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, বিসিএসআইআরের চেয়ারম্যান ড. আফতাব আলী, কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামসহ আরো অনেকে।