এক ছাদের নিচে পছন্দের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া
- চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ০৮ জুন ২০২৪, ১৪:৪১
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘নাহার এগ্রো ফার্ম’। এখানে এক ছাদের নিচে পাওয়া যাচ্ছে পছন্দের গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তারাশাইলের পশ্চিম পাশে দুর্গাপুর বড় পাথর গ্রামে এ ফার্ম অবস্থিত। প্রাকৃতিক ও দেশীয় খাবার খাইয়ে পালন করা পশু কিনতে দূর-দূরান্তের মানুষ সেখানে ভিড় জমায়।
জানা যায়, উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ২০ গরু পালনের মাধ্যমে ‘নাহার এগ্রো ফার্ম’ গড়ে তোলেন দুর্গাপুর গ্রামের মো: ইয়াকুব চৌধুরীর ছেলে মো: আবুল কালাম চৌধুরী। বর্তমানে তার খামারে ১৫০টি গরু, ১৩টি মহিষ ও ৩০টি ছাগল-ভেড়া রয়েছে। প্রতিদিন খামারে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি পশুগুলোকে কাঁচা ঘাস, খড়কুটো ও ভুট্টা খাওয়ানো হয়। খামার পরিচালনায় পাঁচজন শ্রমিক রয়েছে। এছাড়া নিয়মিত দেখাশুনা করেন মো: আবুল কালাম চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানায়, আবুল কালাম চৌধুরী গরুর খামারে গরু মোটাতাজা করে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একজন চাকরিজীবী হয়েও নিজের খামারে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। তার এ সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই গরু পালন করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছেন।
খামারে কর্মরত শ্রমিকরা জানায়, ‘আমাদের খামারের গরুর খাবারের জন্য দেশীয় কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, খৈল, ভুসি ও খড়কুটো ছাড়াও অন্যান্য সব খাবার ভেজালমুক্ত অবস্থায় নিজ হাতে তৈরি করি। এলাকাতে আমাদের খামারের গরুর আলাদা কদর রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেছি। ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য গরু ক্রেতারা প্রতিদিনই আসছে।’
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক বছর আগে কোরবানির জন্য গরু কিনতে গিয়ে আমি নিজেই উদ্যোগী হয়ে খামার প্রতিষ্ঠা করি। এতে একদিকে আমার কোরবানির গরু কিনতে হচ্ছে না। অন্যদিকে, নিজের তদারকিতে গরু লালন পালন করার তৃপ্তিই অন্যরকম।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বড় প্রজেক্ট নিয়ে আরো ব্যাপক আকারে খামার গড়ে তুলে সফলভাবে ব্যবসা করতে পারবো।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা