কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য ১ লাখ টন লবণ সরবরাহ
- এস এম রহমান, পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
- ০৪ জুন ২০২৪, ২৩:৩৯
বিসিক চামড়া সংরক্ষণ ছেলের প্রধান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য দেশের আট বিভাগে এক লাখ মেট্রিকটন ক্রড লবণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে সমভাব্য জবাইকৃত গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি সাত লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি। এর বিপরীতে দেশে এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি গবাদিপশু মজুদ রয়েছে।
প্রায় এক কোটি সাত লাখ জবাই করা গবাদিপশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য ওই পরিমাণ লবণ ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে চামড়া সংরক্ষণের জন্য ক্রড লবণ পৌছে দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিসিক প্রধান দফতরের লবণ সেলের প্রধান কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, চামড়ার সংরক্ষণের জন্য এক লাখ মেট্রিক টন লবণের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য ৮৫ হাজার মেট্রিক টন এবং ট্যানারিতে চামড়া প্রসেসিংয়ের জন্য ১৫ হাজার মেট্রিক টন লবণ ব্যবহৃত হবে।
এদিকে বিসিক লবণ প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার জাফর ইকবাল ভূইয়া বিকেলে জানান, ধোলাই খরচ ছাড়া মাঠে প্রতিমণ অপরিশোধিত লবণ বিক্রি হচ্ছিল গড়ে ৩৫৫ টাকার মতো।
যোগাযোগ করা হলে লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির জানান, মঙ্গলবার পর্যন্ত মিলগেটে অপরিশোধিত প্রতিমণ লবণ ৪৫০ থেকে ৪৯০ টাকা করে পাইকারি ক্রয় করা হয়েছে।
বিসিক লবণ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন।
তার মধ্যে বৈরী আবহাওয়া থাকায় উৎপাদন হয়েছে ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন।
বিসিক লবণ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বাজার উপকূলে মোট ৬৮ হাজার ৫০৫ একর লবণ মাঠে ৪০ হাজার ৬৯৫ জন কৃষির শ্রমিক লবণ উৎপাদনে জড়িত ছিল। পরিশোধিত লবণ ভোজ্য আট লাখ ৭৮ হাজার, শিল্প খাতে আট লাখ ৩৭ হাজার, মৎস্য খাতে ৩৮ হাজার, প্রাণিসম্পদ খাতে তিন লাখ ৪৬ হাজার মেট্রিক টনসহ পরিশোধিত লবণের চাহিদা রয়েছে ২০ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন।
অপরিশোধিত লবণ থেকে পরিশোধিত লবণে রূপান্তর করতে ১৭ ভাগ প্রসেসিং লসসহ লবনের চাহিদা ধরা হয়েছিল ২৫ লাখ ২৮ হাজার টন।