ঘূর্ণিঝড় রেমাল মির্জাগঞ্জে রেখে গেছে তাণ্ডবের চিহ্ন
- উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)
- ২৮ মে ২০২৪, ১৪:৫০
ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেমে গেলেও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে রেখে গেছে তাণ্ডবের চিহ্ন। সিডরের ভয়াবহতা আজও মানুষ ভুলতে পারেনি। এরমধ্যেই একাধিক ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করতে হয়েছে নদীর তীরবর্তী মানুষের। এবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর আঘাত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় ক্ষত বেশি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) মির্জাগঞ্জে দমকা বাতাসের সাথে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। এতে স্থানীয় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
এর আগে, সোমবার আবহাওয়া অধিদফতর ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলে।
উপজেলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকা জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের ইমরান অভিযোগ করেন, মির্জাগঞ্জ তালতলী ও সিকদারের স্লুলিস গেটটি খুলে না দেয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বারবার কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী মাছ আহরণের আশায় স্লুইস গেট আটকিয়ে জাল পেতে মাছ আহরণ করছে।
পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের মো: মহিউদ্দিন হানিফ বলেন, চত্রা বকসির খালে স্লুইস গেটগুলো খুলে না দেয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গেটগুলো খুলে দিলে জলাবদ্ধতার নিরাসন হতো।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: তরিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের সময় তিন হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ছয় ইউনিয়ন মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দী প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। উপজেলার মধ্যে বেশি ক্ষতি হয়েছে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন।