হাজীগঞ্জে বসতঘরে ঢুকে দাদি-নাতিকে কুপিয়ে হত্যা
- ইলিয়াছ পাটওয়ারী, চাঁদপুর
- ২৮ মে ২০২৪, ১৩:২৪, আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১৩:২৭
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে বসতঘরে ঢুকে দাদি ও নাতিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক নাতনি।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামের বকাউল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বাড়ির তিন পরিবারের পুরুষ সদস্যরা প্রবাসে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের ছোট ছেলের স্ত্রী জানান, বোরকা পরে এক যুবক ঘরের দরজা ভেঙে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে হামিদুন্নেছা (৭০) নিহত হন। আর আরাফাত হোসেনকে (১২) হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া হালিমা আক্তার মিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও তার ভাই নিহত আরাফাত একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র।
স্থানীয় আবদুল গণি বলেন, ‘হত্যার পেছনে দু’টি কারণ থকতে পারে। একটি মিমকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করেছে পরিবার। অন্যটি গ্রামের কয়েকজন তাদেরকে ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে হত্যার হুমতি দিয়েছে বলে দাবি করা হয়।’
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো: অরুণ নয়া দিগন্তকে জানান, রাতে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। দাদিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আর নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। হাসপাতালে নেয়ার পর নাতি মারা যান। তার জিহ্বা কেটে দিয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে বলেন, ‘এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। হত্যার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। সেই সব সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে। ইভটিজিং, পরকীয়া ও এক নাতনির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের আঁচ পাওয়া গেছে।’