১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এবার রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উৎখাতে নেমেছে আরাকান আর্মি

এবার রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উৎখাতে নেমেছে আরাকান আর্মি - ফাইল ছবি

এবার রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উৎখাতে নেমেছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। উদ্ভূত পরস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের আগমন ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তার সেনাদের সাথে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির চলমান তুমুল লড়াই চলছে। দুই পক্ষের এ যুদ্ধ ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের কবলে পড়ে ফের পালাচ্ছেন সেখানকার রোহিঙ্গা বাসিন্দারা।

২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর হত্যা-নিপীড়নের মুখে নিজেদের বাঁচাতে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। তবে এবার রাখাইন রাজ্যে নিপীড়ন চালাচ্ছে এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মিরা। বুথিডং ফুমালি নামে একটি রোহিঙ্গা গ্রামে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের মধ্যে গতকাল দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বহু রোহিঙ্গা হতাহত হয়েছে। অনেক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে ছুটছে।

এপারের রোহিঙ্গাদের সূত্র মতে, রাখাইনের বুথিডং শহর জুড়ে ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তারা অগ্নিসংযোগের জন্য আরাকান আর্মিকে অভিযুক্ত করেছে। আরাকান আর্মি বুথিডং দখল করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে। আগুনে ঘরবাড়ি হারা রোহিঙ্গাদের কোনো আশ্রয়কেন্দ্র, সরকারি ভবন, হাসপাতাল বা স্কুলভবনে আশ্রয় নিতে দিচ্ছে না আরাকান আর্মি।

এর আগে ১৮ মের মধ্যে বুথিডং ছেড়ে রোহিঙ্গাদের অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিল। তাদের আলটিমেটাম শেষ হওয়ায় বুথিডং এলাকার আরাকান আর্মির যোদ্ধারা স্থানীয়দের বাড়িঘর থেকে বের করে দিয়ে আগুন দিয়েছে।

স্থানীয় রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়া একটি স্কুল ও হাসপাতালেও আগুন দেয়া হয়েছে। এতে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

এর আগে ৩ মার্চ থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সাথে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে নিজেদের বাঁচাতে কয়েক দফায় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় সহস্রাধিক সদস্য নাফ নদী ও নাইক্যংছড়ি স্থলসীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। এতদিন তাদের বিজিবির হেফাজতে নাইক্ষ্যংছড়ির একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

রাখাইনে দুই পক্ষের তুমুল লড়াইয়ের প্রেক্ষিতে বান্দরবান সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির একটি অংশকে কক্সবাজার জেলার মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোনো ধরনের সুযোগ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
র‍্যাবে আয়নাঘর ছিল, স্বীকার করলেন ডিজি আবারো গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ জাতিসঙ্ঘের ডিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল ১৪.৪৮ পয়েন্ট সিরিয়ায় বাশার সরকারের পতনে ইরানি মুদ্রার মান রেকর্ড তলানিতে নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজেছাত্র আহত তারেক রহমান কবে ফিরবেন, জানালেন মির্জা ফখরুল কালিয়াকৈরে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে র‍্যাবের ১৬ সদস্য আটক : ডিজি মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’

সকল