শিক্ষকের ২ হাত ভেঙ্গে দেয়ার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে দাবিতে মানববন্ধন
- নোয়াখালী অফিস
- ১১ মে ২০২৪, ১৯:৩৬
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
শনিবার মুছাপুর ক্লুজার সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত রাজু ও নোমানকে গ্রেফতারের দাবি জানান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়াডের বাসিন্দা জহিরুল হকের ছেলে মো: রাজু (২৪) ও তার সহযোগী নোমান গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মাদরাসার ক্যাম্পাসে আসে। সে ৬ষ্ঠ শ্রেণির কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণি কক্ষে থাকা বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। খবর পেয়ে মাদরাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক কারী মো: সোহেল এগিয়ে এলে রাজু ও তার সহযোগীরা মাদরাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। তাৎক্ষণিক একই মাদরাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে এসে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করে। পরে এ ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো: রাশেদ অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রাজু থেকে এ ধরনের কাজ আর করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ঘটনা মিটমাট করে দেন। এ দিকে একই দিন বিকেল ৫টায় ওই বিরোধের জের ধরে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে ৭/৮ জন কিশোর গ্যাং সদস্য তার গতিরোধ করে। পরে তারা শিক্ষক হাসানের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে তার দুই হাত ভেঙ্গে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ মাদরাসার পক্ষে এবং আহত মো: হাসানের পক্ষে তার শশুর সাহাব উদ্দিন কোম্পানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা