কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড দাগনভুঞা উপজেলা
- মিজানুর রহমান, দাগনভুঞা (ফেনী)
- ০৬ মে ২০২৪, ১৭:৩৮
ফেনীর দাগনভুঞা উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে অনেক গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে।
এতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) দুপুর ১টার দিকে ঝড় শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটার সময় শেষ হলেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। শত শত হেক্টর জমির পাকা ধান, আম, কাঁঠাল ও লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার উত্তর আলিপুর গ্রামের কৃষক চকু মিয়া জানান, দুপুরে দিকে আকাশ কালো করে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। সাথে প্রচণ্ড বজ্রপাত। এতে মানুষ ভয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। আমার বোরো ধান বাতাসে জমিনে বিছিয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আমার অনেক গাছ বাতাসে ভেঙে পড়েছে।
দাগনভুঞা বাজারের মায়া ফ্যাশনের মালিক রুহুল আমিন জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘরের উপরের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া বাড়ির বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়েছে।
মাতুভুঞা ইউনিয়নের বেকের বাজারের ব্যবসায়ী মো: সবুজ জানান, ঝড়ে বাজারের দক্ষিণ পাশে বড় একটি গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে তারসহ রাস্তায় ছিড়ে পড়ে আছে।
দাগনভুঞা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো: জাহাঙ্গীর আলম নয়া দিগন্তকে জানান, কালবৈশাখীর তাণ্ডবে পুরো উপজেলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের বড় বড় খুঁটি ভেঙে পড়ার খবর পেয়েছি। এ ছাড়া গাছের ডাল পড়ে তার ছিড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা মেরামতের কাজ করছি।
দাগনভুঞা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মহি উদ্দিন মজুমদার নয়া দিগন্তকে জানান, ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছেন।
দাগনভুঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা নয়া দিগন্তকে জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে দাগনভুঞা উপজেলায় অনেক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পুরো উপজেলা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অনেক স্থানে বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। আমরা এখনো বিস্তারিত পাইনি পেলে ক্ষয় ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানাতে পারব।