প্রবাসী স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের এক প্রবাসীর স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার এ ঘটনায় সংগঠন বহির্ভূত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে তাকে কারণ দশার্নো নোটিশ দিয়েছে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ এবং আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সংশ্লষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চান্দলা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ছেলে ফাহাদ হোসেন মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি ফাহাদের মা জানতে পেরে ছেলে ফাহাদকে ওই মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলেন। এতে মেয়েটি যোগাযোগ বন্ধ না করে ছেলের বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করে। এতে নিরুপায় হয়ে ছেলের (ফাহাদ) মা মনোয়ারা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের অভিভাবককে মেয়েকে তার ছেলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করতে অনুরোধ করেন। মেয়ের পরিবার ছেলের মাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন সৌরভ মতিগঞ্জ গিয়ে ফাহাদ হোসেনের মাকে উদ্ধার করেন।

সূত্রে আরো জানা গেছে, এ অজুহাত দেখিয়ে ফাহাদের মায়ের ব্যবহৃত স্বর্ণ স্থানীয় কুঠিরহাট বাজারে বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে কয়েকজন মিলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। এর মাঝে সৌরভ উক্ত প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে আরো ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। রোববার (২১ এপ্রিল) প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। সম্প্রতি ফাহাদের বাবা প্রবাসী বেলায়েত হোসেন খবর পেয়ে ওই টাকা ফেরত আনতে ফাহাদের মাকে চাপ প্রয়োগ করেন।

ফাহাদের মা মনোয়ারা বেগম জানান, ‘সৌরভ নিজে তার বাড়িতে এসে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণ নিয়ে তাকে-সহ কুঠিরহাট বাজারে গিয়ে এক স্বর্ণ দোকানে স্বর্ণ বন্ধক রেখে দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। সম্প্রতি সে আরো ৫০ হাজার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে। এতে নিরুপায় হয়ে তিনি বিষয়টি তার পরিবারকে ও স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।’

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা আফাজ উদ্দিন সৌরভ বলেন, ‘ফাহাদের মাকে মতিগঞ্জ ইউনিয়নে উক্ত মেয়ের বাড়িতে আটকিয়ে রাখলে বিষয়টি ফাহাদ আমাকে জানায়। পরে আমি গিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সাথে কথা বলার পর মতিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সালিসি বৈঠকের কথা বলে ছেলে মাকে নিয়ে আসি এবং ফাহাদের মায়ের অনুরোধে তার সাথে স্বর্ণ দোকানে যাই ও সে টাকা নিয়ে মতিগঞ্জ গিয়ে সোহেল নামের এক যুবকের হাতে তুলে দে যেন তার ছেলের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে না পড়ায় ও বিষয়টি গোপন রাখে।