ইফতারের আগে শ্রমিক লীগ নেতার মোনাজাতে হাসির রোল, ফেসবুকে ভাইরাল
- মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৬, আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে ইফতারের আগে শ্রমিক লীগ নেতার মোনাজাত নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার আরশী নগর ফিউচার পার্কে অনুষ্ঠিত ইফতারের আগে ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন দিদার ইফতার সামনে নিয়ে দোয়া পরিচালনা করছেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানসহ ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই মোনাজাত ধরে হাসছেন। এছাড়া যিনি ভিডিও ধারণ করছেন, তিনিও হাসছেন। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর পর নিন্দার ঝড় উঠেছে পুরো উপজেলাজুড়ে। সারাদিন টক অব দ্যা মিরসরাই ছিল এই মোনাজাত। কিছুতেই এমন হাসি ঠাট্টার মোনাজাত মেনে নিতে পারছে না মানুষ।
ইফতার অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তি, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, করেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনায়েত হোসেন নয়ন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফেরদৌস হোসেন আরিফসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনেকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসেও তিনি নেচে-গেয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন করেন তার এই পার্কে। উপজেলার বিভিন্ন সময়ে তিনি মাহফিলে ওয়াজ করে ঠাট্টা মশকারি করেন। এতে মিরসরাইয়ে নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, নাসির উদ্দিন দিদার একজন ভন্ড লোক। তিনি কখনো পার্কে নাচ গান করে, আবার কখনো বিভিন্ন মাহফিলে ওয়াজও করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলেনা।
হাসির এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেককেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। ভিডিওটি শেয়ার করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দায়িত্বশীলদের সমালোচনা করে নানা মন্তব্য জুড়ে দিতেও দেখা গেছে অনেককে।
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও আরশী নগর ফিউচার পার্কের স্বত্বাধিকারী নাসির উদ্দিন দিদার বলেন, ‘এটা আমাদের রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ছিল। আমি আমার ভাষায় মোনাজাত করেছি। আমি মোনাজাতে খারাপ কিছু বলিনি। কারা কেন হেসেছেন, আমি জানি না। আমি তো হাসি নাই।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘আমরা সবাই মোনাজাত করেছি, মোনাজাতের একটি শব্দ উচ্চারণের পর হাসি চলে আসে। এটা সোশ্যাল মিডিয়ায় নেগেটিভভাবে প্রচার হচ্ছে। আমরা সবাই রোজাদার হিসেবে ইফতারের আগে মোনাজাত করি। আল্লাহ সকলের অন্তরের খবর জানেন।’