নোয়াখালীর ২ নাবিকের পরিবারের নেই ঈদ আনন্দ
- নোয়াখালী অফিস
- ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০২
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে পণবন্দী নোয়াখালীর নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু (২৭) ও ছালেহ আহমদের (৪৩) পরিবারে নেই ঈদের আনন্দ। প্রতি মূহুর্ত কাটছে চরম উৎকণ্ঠায়।
বুধবার দুই পণবন্দী নাবিকদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্য ঈদগুলো খুশির থাকলেও এবার ঈদ পূর্ব তাদের দিন কাটাছে নীরব কান্নায়। একইসাথে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে শঙ্কা। পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি বন্দী থাকায় হারিয়ে গেছে তাদের ঈদ আনন্দ।
চাটখিল উপজেলার সিংবাহুড়া গ্রামের ছালে আহামদের স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে তাদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ফাইটার পদে কর্মরত ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সাথে ঈদ করবেন সালে আহমদ। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে পণবন্দী হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। প্রতি মূহুর্তে উৎকণ্ঠায় মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে পরিবারটি। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ স্ত্রী তানিয়া আক্তার।
স্থানীয়রা বলেন, পণবন্দী নাবিকদের ভাগ্যে কী ঘটবে সেই শঙ্কায় ঈদের আনন্দ নেই তাদের পরিবারে।
ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, ‘এখন নিজেরা নিজেদের সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করছি, এখনো সময় আছে স্বামী ফিরবে। সরকার নাবিকদের ঈদের আগে ফিরিয়ে আনবে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।’
জলদস্যুদের হাতে অপর পণবন্দী রাজু নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে।
রাজুর বাবা আজিজুল হক মাস্টার বলেন, রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত নভেম্বরের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর গত ২২ দিন ছেলের বন্দীদশায় বদলে গেছে পরিবারের চিত্র। ঈদের আগেই যেন আমার সন্তানসহ সকল নাবিকের মুক্তির ব্যবস্থা করে সরকার।
রাজুর মা দৌলত আরা বেগম বলেন, আমরা খুবই কষ্টে দিন অতিবাহিত করছি। সরকার ঈদের আগেই যেন আমার ছেলেসহ পণবন্দী সবাইকে ছাড়িয়ে আনে। ছেলে ছাড়া আমাদের কোনো ঈদ আনন্দ নেই।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশী বাণিজ্য জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২৩ নাবিকের মধ্যে ছিল নোয়াখালীর এই দুই যুবক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা