১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

নোয়াখালীতে ভয়াবহ লোডশেডিং, গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে

নোয়াখালীতে ভয়াবহ লোডশেডিং, গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে - ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীতে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ-ছয় ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে রোজাদার মোসল্লিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তার পাশাপাশি কল কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তীব্রভাবে।

নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, সুবর্ণচর উপজেলায় নোয়াখালী পল্লী বিদুৎয়ের রয়েছে ছয় লাখের অধিক গ্রাহক। এসব গ্রাহক লোডশেডিংয়ের যাঁতাকলে পড়েছে।

একসময় রাতের বেলায় লোডশেডিং হতো বর্তমানে রাত দিন ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে সমানে সমান। ইফতার তারাবি, সাহরির অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ও প্রচণ্ড গরমে মুসল্লিরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগের পোহাতে হচ্ছে।

এ দিকে টানা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় জেলার একমাত্র ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ডেল্টা জুট মিল, বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরী ও নোয়াখালী বিসিক শিল্প নগরীসহ জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট বড় তিন শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তার পাশাপাশি কাজ বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মুজরী দিতে গিয়ে মালিকদের লোকসান গোনতে হচ্ছে। এ দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয় নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুসন্ধানে মুঠো ফোনে বিদ্যুতের বিষয় জানার চেষ্টা করলে অধিকাংশ সময়ে ফোন কনভার্ট করে রাখে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

বেগমগঞ্জ বিসিক শিল্প নগরীর মালিক সমিতির সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের অভাবে কলকারখানাগুলো বন্ধ হওয়ার পথে। ইফতার এমনকি সাহরির সময ও বিদ্যুৎ থাকে না।

এ দিকে চৌমুহনীতে প্রায় ৪০ হাজার ও মাইজদীতে প্রায় ৭৬ হাজার গ্রাহক রয়েছে পিডিবির। এ গ্রাহকগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে রয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী ও জেলা শহর মাইজদীতে ঈদ উপলক্ষে ব্যবসা পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটছে। ব্যবসায়ীরা জেনোরেটর দিয়ে সমস্যার সমাধান করছে।

নোয়াখালী পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী হাসিবুল বাহার লোডশেডিংয়ের বিষয় শিকার করে বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় ৫০-৬০ ভাগ লোডশেডিং করতে হচ্ছে। চাহিদার বিপরিত অর্ধেক কখনো তার চেয়ে কম সরবরাহ হচ্ছে।

লোডশেডিংবিষয় জানতে চাইলে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের জি এম জাকির হোসেন বলেন, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চাহিদার তুলনায় কম হচ্ছে। ফলে ৪০ ভাগ লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সরবরাহ বাড়ে কমে। তাই লোডশেডিংয়ের সঠিক হিসেব দেয়া যাচ্ছে না।


আরো সংবাদ



premium cement