২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

তজুমদ্দিনে খাদ্য ও মিষ্টি পানির অভাবে বিপাকে মহিষ খামারীরা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ভোলার তজুমদ্দিনে খাদ্য ও মিষ্টি পানির তীব্র সঙ্কটে বিপাকে পড়েছে ছোট বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক মহিষের খামারী। মহিষ পালনে এই জেলা বিখ্যাত হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে খামারীর সংখ্যা। চরাঞ্চলে গড়ে উঠা মহিষের খামারীরা খাদ্য ও মিষ্টি পানির তীব্র সঙ্কটের পাশাপাশি নানা রোগ বালাইর কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন সময় মারা যাচ্ছে মহিষ। তাতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন খামারীরা। এসব বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ দফতরের।

খামারীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, উপজেলার চরাঞ্চলে অনেক বছর ধরে গড়ে উঠেছে ব্যক্তি পর্যায়ে মহিষের খামার। এসব খামার থেকে প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে দুধ থেকে দই তৈরি করে বিক্রি করা এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় থেকে আশা বেপারীদের কাছে মহিষ বিক্রি করা। দই বিক্রি করে ভালো আয় হওয়ায় বাড়ছে খামারীর সংখ্যা। তবে চরাঞ্চলে খাদ্য ও মিষ্টি পানির তীব্র সঙ্কটের সাথে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগবালাই। খাদ্য ও মিষ্টি পানির সঙ্কটে মহিষগুলো দূর্বল হয়ে রোগাক্রান্ত হওয়ায় দুধও কমে গেছে।

চরাঞ্চলের খামারীদের একমাত্র পানির উৎস হচ্ছে মেঘনা নদী। আর বছরের জানুয়ারী থেকে এপ্রিল চার মাস নদীর পানিতে প্রচুর লবণাক্ততা থাকায় মিষ্টি পানি ও খাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। বছরের এ সময়গুলো খামারীরা কৃত্রিমভাবে মিষ্টি পানির ব্যবস্থা করলেও মহিষের সংখ্যার তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল। তাই মহিষের সম্ভবনাময় এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন সরকারীভাবে চরে হাউজসহ গভীর নলকূপ স্থাপন করা, তা না হলে মহিষের এই সম্ভাবনাময় শিল্পটি ধ্বংস হয়ে পথে বসতে পারে এসব খামারীরা। চরগুলোতে চর্ম ও বাতরোগে আক্রান্ত হচ্ছে মহিষ। উপজেলা থেকে চরগুলোর দূরত্ব বেশি হওয়ায় যথাসময়ে চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

অন্যদিকে নদীর লবণ পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে মহিষ। এতে পুঁজি হারিয়ে বিপাকে পড়ছেন খামারীরা।

এক সময় এ উপজেলায় ক্ষুরা রোগ মহিষ খামারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ালেও বর্তমানে চরের সকল মহিষকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর বিনামূল্যে দুইবার রাশিয়ান তৈরি টিকা প্রদান করেন, যার ফলে এখন চরের মহিষ খামারীরা সম্পূর্ণভাবে ক্ষুরা রোগ থেকে মুক্ত রয়েছেন।

এছাড়াও মহিষ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খামারীদের ১২০ কেজি ভিটামিন মিনারেল পাউডার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনামূল্যে কৃমির ওষুধ সরবরাহ করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহিষের খামারী নুর ইসলাম (বাবুল মাঝি) বলেন, চরে আমরা যারা মহিষ পালন করি বছরে প্রায় ছয় মাস খাদ্যের তীব্র সঙ্কট থাকে। খাদ্য সঙ্কটের কারণে মহিষ শারীরিকভাবে দূর্বল হয়ে যাওয়ায় দুধ কমে যায়। অন্যদিকে জানুয়ারী থেকে এপ্রিল চার মাস নদীর লবণ পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক মহিষ মারা যায়। এতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি, চরে হাউজসহ একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের পাশাপাশি উন্নতজাতের ঘাস তৈরির।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.পলাশ সরকার (পিএএ) বলেন, বর্তমান সময়ে নদীতে লবণ পানি থাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মহিষ মারা যায়। এতে খামারীদের আতঙ্কিত না হয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের সাথে চিকিৎসকদের পরামর্শ করতে আহ্বান করবো। অন্যদিকে নদীতে বছরের চার মাস লবণ পানি থাকাকালীন মিষ্টি পানির জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে হাউজসহ একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের চেষ্টা করবো।


আরো সংবাদ



premium cement
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে জেল হাজতে প্রেরণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশী অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার কমান্ডার আটক বান্দরবানে অস্ত্র, গুলি ও ড্রোন সিগন্যাল জ্যামারসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার পোকায় খেলো ভর্তির সময় জমা দেয়া রাবি শিক্ষার্থীদের মার্কশিট কুষ্টিয়ায় বিলের পানিতে ডুবে ফুফু-ভাতিজির মৃত্যু জ্বালাপোড়া আর যন্ত্রণায় এখনো কাতরান রেজাউল মুন্সি চীনের নতুন ৬টি স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ দ্রুত উইকেট হারানোর চাপ নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগে উত্তাল দীঘিনালা : নিহত ৩ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ সদর দফতর আজ বিকেল থেকে চলবে মেট্রোরেল, খুলছে কাজীপাড়া স্টেশনও

সকল