নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে নৌকার কর্মীদের হামলা-ভাংচুর

নোয়াখালীর সুবর্ণচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বিএসসির সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুকের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থক আহত হয় এবং তাদের ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা। আহতদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল, সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়।

শনিবার দুপুরে ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দুপুরে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ১ নং চরজব্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক তার আনারস প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ, কর্মীদের উপর হামলা করে আহত করা, প্রচার কাজে বাধা সৃষ্টি করা ও সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দেয়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের দাবিতে চরজব্বর ইউনিয়নের ছ্যাইয়াখালী বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সংবাদ সম্মেলন করে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে গাড়ি বহর নিয়ে ফেরার পথে গাড়ি বহরটি একই ইউনিয়নের চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজারে এসে পৌঁছলে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলামের সমর্থক মঞ্জু, আজাদ, নবী মেম্বারের যোগসাজশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা পিটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ সমর্থককে আহত করে এবং ২০-৩০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমার গাড়ি বহরে আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় তারা আমার ১৫০ জন অনুসারীকে পিটিয়ে আহত করে এবং ২০০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এরপর আমার তিনজন সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে গুম করে নিয়ে যায়।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ১ নং চর জব্বর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘এ ঘটনা আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সাজানো নাটক। এ ঘটনার সাথে আমার কোনো সমর্থক জড়িত নেই। আমি ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। পরে জানতে পেরেছি মোটরসাইকেলে কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী শার্ট উঠিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে চর হাসান ভূঁইয়ার হাট বাজারে যায়। এ সময় স্থানীয় জনতা উত্তেজিত হয়।’

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জিয়াউল হক হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ৫৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত কতজন আহত হয়েছে এবং কতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে তার প্রকৃত তথ্য জানা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে আরো বিস্তারিত জানা যাবে।