কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের কার্যালয় ছাড়লেন কাদের মির্জা

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছেড়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই, আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ছাড়াও তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

সোমবার দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা রুপালী চত্বরে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সব মালামাল তিনি পার্শ্ববর্তী একটি ভবনে ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে গেছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছেড়ে দেয়া প্রসঙ্গে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘ওই কার্যালয়টি ঘরের মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছি। সোমবার থেকে আমি বসুরহাট রুপালী চত্বরে আলেয়া টাওয়ারে ব্যাক্তিগত অফিসে বসছি। তাই আমার কেনা মালামালগুলো নিয়ে এসেছি।’

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অপরাজনীতির সাথে আমি নেই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস কোথায় হবে তা একমাত্র ওবায়দুল কাদের জানেন।’

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী বলেন, ‘এসব মালামাল পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নামে কেনা। উনি (কাদের মির্জা) আওয়ামী লীগের মালামাল ব্যাক্তিগত ভাবে নিয়ে যেতে পারেন না।’

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট রুপালী চত্বরে দীর্ঘ দুই মাস যাবৎ যে মঞ্চ থেকে প্রতিনিয়ত দলের কতিপয় নেতার সমালোচনা করে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন তা প্রশাসনের চাপের মুখে সরিয়ে নেন আবদুল কাদের মির্জা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি।

আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে শহরের রূপালী চত্বরে বাঁশের খুটি পুঁতে ও কাঠ দিয়ে মঞ্চ তৈরি করেছিলেন।