নির্বাচনের সংঘর্ষ দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ছাত্রের মৃত্যু
- পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:০৪
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পৌরসভা নিবার্চনের হামলা পাল্টা হামলা দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ কলেজ ছাত্র হাবিবুর রহমানের(২০) মৃত্যু হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল পৌনে ১০টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারী চন্দনাইশ পৌরসভায় নিবার্চন চলাকালে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটন্দ্রের বাইরে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
নিহত হাবিবুর রহমান ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব চন্দনাইশ মাছুম ফকির বাড়ির আণোয়ারুল ইসলামের ছেলে ও গাছবাড়িয় সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৮ দিন পরে হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনার সংবাদ পেয়ে আনোয়ারা সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, পুলিশ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন সরকার পরিদর্শক তদন্ত মজনু মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার সুজায়েত মিয়াসহ পুলিশের একটি টিম নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে মিলিত হন।
৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর হাসনে আরা বেগম ও নিহতের মা সখিনা খাতুন বলেন, তার ছেলে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ ভোট দিয়ে বাড়ি পাশে ভোটকেন্দ্রর বাইরে ধাওয়া পাল্টার ঘটনা দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
নিহতের মা বলেন, আমার নারি ছেড়া ধন চলে গেল, আমি এখন কি নিয়ে বাঁচবো। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত কাউন্সিলর আবু তৈয়্যব বলেন, ভোট চলাকালীন সময়ে তিনি বনিকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ছিলেন। ওই ঘটনা তিনি পরে জানতে পেরেছেন।
এদিকে রোববার রাতে লাশ ময়না তদন্তের পর গ্রামের বাড়িতে আনা হলে এলাকার এলাকায় হৃদয় বিদারক পরিবেশ ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানের তার লাশ দাফন করা হয়।
চন্দনাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক নাছির উদ্দিন সরকার বলেন ঘটনার পর থেকে ওই বিষয়য়ে কেউ থানায় মামলা ও কারো পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হয়নি। তার ওই যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিবরণ শুনে লিপিবদ্ধ করেছেন। পবিারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হলে পুলিশ বাদি হয়ে মামরা দায়ের করার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য ভোট চলা কালিন সময়ে চন্দনাইশে কয়েকটি কেন্দ্রের বাহিরে বিছিন্ন ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আনজুমান খাতুন (৭০), দুলাল চৌধুরী(৭০), মো. ফোরকান(২৮), মেজবাহ উদ্দিন(৩৮), মো. হাবিব(২০) ও মোহাম্মদ অভি(২১)সহ ৬ জন আহত হয়েছিল।