২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে উখিয়ায় পাথুরে গাথা পাটুয়ারটেক

-

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও সেরা পর্যটন নগরী কক্সবাজার। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের মাঝপথে উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকত। একটু যেতেই পাটুয়ারটেক। মেরিন ড্রাইভ সড়কের একপাশে পাথুরে গাথা বিশাল সমুদ্র আর অন্য পাশে বলয়জুড়ে পাহাড়ের বিস্তৃতি। পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকত আর রাতে সেখানকার বালিতে আছড়ে পড়া ঢেউ দেখলে মনে হবে যেন ছড়িয়ে আছে অসংখ্য রত্ন। বর্ষায় পাহাড় অরণ্যের এ রুপ সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় থাকে। বাতাসে অধিক পরিমাণে জলীয়বাস্প জমলে, তার সাথে ব্যাকটেরিয়ার বিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় উজ্জ্বল আলোর। প্রকৃতিতে রাতে নির্জন সৈকত ও গভীর অরণ্যে এনে দেয় আলো ঝলমলে উজ্জ্বলতা। বিশাল আকাশের নিচে এক অপরুপ লীলাভূমি উখিয়ার পাটুয়ারটেক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে।

সবুজ পাহাড় বেষ্টিত পাথুরে গাথা সমুদ্রে পথে পথে দেখা মিলে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। গভীর সমুদ্রে জেলেদের ব্যস্ততা, সাগর থেকে মাছ নিয়ে ফেরে জেলেরা। কেউ জাল বুনে অবসরে, কেউ আবার উত্তাল সাগরে নৌকা ভিড়ায়।
শারমিন আক্তার এবারই প্রথম উখিয়ার পাটুয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছেন। বললেন, আমার সব চাইতে বেশি ভালো লেগেছে লাল কাঁকড়া। সাগরের বিভিন্ন জাতের কাকঁড়া ভেজা মাটিতে ছোট ছোট গর্তে মুখ তুলে থাকে, হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় এসব গর্তে থাকা কাঁকড়াগুলো।

করোনার কারণে মাসের পর মাস বন্ধ থাকার পর প্রবাসী জুলফিকার আলী ভুট্টো উখিয়ার পাটুয়ারটেক বেড়াতে আসেন। তিনি বলেন, আল্লাহর দেয়া অপরুপ সৌন্দর্যঘেরা উখিয়ার পাটুয়ারটেক দেখতে সত্যি অসাধারণ। এখানে হাজারো পর্যটক আসেন একটু বিনোদনের জন্যে। এখানকার পরিবেশ খুবই ভালো। মনোরম দৃশ্য সহজেই মন কেড়ে নেয়।

সমুদ্রকেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এ খাতে প্রায় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণে নাজেহাল সারাবিশ্ব। এই ভাইরাসের সংক্রমণ বিরুপ প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে। পর্যটনস্পটগুলো খুলে দেয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। এখন পর্যটনে মুখর হয়ে উঠেছে পাটুয়ারটেক সী-বিচ। প্রতিদিন হাজার হাজার ভ্রমণ পিয়াসী মানুষের সমাগম ঘটে। মানুষ অনেক দিন ঘরে বন্দি থাকার পর আর মানছে না। ছুটে চলছে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। সব জায়গায় নিষেধাজ্ঞা না মেনে লোকজন জড়ো হচ্ছে। অনেক আবার স্ব-পরিবারে ঘুরতে বের হচ্ছে। এদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গরজও নেই। অনেকে মাস্কও পরছে না।

সমুদ্র স্পট থেকে শুরু করে এখানকার হাট-বাজারের অবস্থা দেখলে মনে হয় করোনা বলে কিছু আর নেই। সব কিছু আগের মতো স্বাভাবিক। চারদিকে ভিড় রাস্তায় যানজট। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এ অবস্থায় বিনোদন কেন্দ্রসমূহ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় করোনা সংক্রমণের হার আবারো উর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। সরকারের উচিত পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে নানান সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা।


আরো সংবাদ



premium cement