২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৫ নবজাতকের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু, ২ শিশুকে বাঁচাতে আকুতি বাবার

৫ নবজাতকের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু, ২ শিশুকে বাঁচাতে আকুতি বাবার - ছবি : নয়া দিগন্ত

অস্ত্রোপচার ছাড়াই একই সাথে জন্ম নেয়া পাঁচ সন্তানের মধ্যে আরো একজন মারা গেছে। রোববার রাতে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলে শিশুটি মারা যায়। এর আগে গত বুধবার কুমিল্লার লাকসাম জেনারেল হাসপাতালে দুপুরে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শারমিন আক্তার নামের এক গৃহবধূ। এর মধ্যে তিনজন ছেলে ও দুজন মেয়ে।

জন্মের পর শিশুদের ওজন কম হওয়ায় তাদের নিয়ে কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন শারমিনের স্বামী মাদরাসার শিক্ষক মিজানুর রহমান। যাওয়ার পথে অক্সিজেনের অভাবে এক ছেলে ও এক মেয়ে মারা যায়। বাকি তিনজনকে কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখ হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দুপুরে তাদের ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে শয্যা না পেয়ে ধানমন্ডির উইমেন্স অ্যান্ড চিলড্রেন জেনারেল হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। রোববার রাতে ইনকিউবেটরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন শিশুর মধ্যে আরো একজন মারা গেছে। বর্তমানে ওই হাসপাতালের ইনকিউবেটরে এক ছেলে ও এক মেয়ে চিকিৎসাধীন আছে। তাদের চিকিৎসা বাবদ প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। এত টাকা খরচ বহন করার সামর্থ্য নেই মাদরাসার শিক্ষক মিজানুর রহমানের। এই অবস্থায় দুই নবজাতককে বাঁচাতে দেশের হৃদয়বান মানুষদের প্রতি আকুতি জানিয়েছেন তিনি।

লাকসাম জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ লতিফা আক্তার বলেন, ওই প্রসূতি নারী সাত মাসের গর্ভবতী ছিলেন। হাসপাতালে আসার পর তার আলট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। এতে দেখা গেছে তার পেটে পাঁচটি বাচ্চা আছে। এরপর তাকে স্যালাইন দেয়া হয়। পরে তিনি স্বাভাবিকভাবে একে একে পাঁচটি বাচ্চা প্রসব করেন। ৭ থেকে ১০ মিনিটের ব্যবধানে বাচ্চাগুলো একে একে ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু ওদের ওজন কম ছিল। ফলে মা ও বাচ্চাগুলোকে উন্নত পরিবেশে ইনকিউবেটরে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়।

নবজাতকদের বাবা মাদরাসার শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, এর আগে তার প্রথম সন্তান (ছেলে) দুই বছর আগে মারা যায়। এবার পাঁচ সন্তান হওয়ায় তিনি মহাখুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে তিনজন মারা গেছে। এখন দুই নবজাতককে বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি আরো বলেন, মাদরাসা থেকে মাসে ছয় হাজার টাকা বেতন পাই। এই টাকায় সংসারই চলে না। এরই মধ্যে এই অবস্থা।


আরো সংবাদ



premium cement