মিরসরাইয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩, আটক ২
- মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ০৭ জুন ২০২০, ২৩:২৮, আপডেট: ০৭ জুন ২০২০, ২৩:২২
মিরসরাইয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় উভয় পক্ষের দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে উপজেলার ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নে সারেংপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন যুবলীগ কর্মী মঘাদিয়া ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকার মৃত আহাম্মদ ছোবহানের ছেলে জাহেদুল ইসলাম রানা ( ২৬), যুবলীগ কর্মী কাজীর তালুক এলাকার জামাল উল্লাহর ছেলে জামশেদ আলম (২৮) ও অন্যপক্ষের যুবলীগ কর্মী কাজীর তালুক এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে মেহেদী হাসান (২৬)। আহতদের মধ্যে রানা ও জামশেদকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নেয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় আহত রানার ভাই মনিরুল ইসলাম রুবেল বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। হামলার ঘটনায় শওকত ও জাহেদ নামে উভয় পক্ষের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার বাদি মনিরুল ইসলাম রুবেল জানান, কয়েকদিন আগে সোহেল নামে একজনকে মারধর করে মেহেদী হাসান, শওকতসহ কয়েকজন। বিষয়টি তাদের জিজ্ঞেস করেছিল জামশেদ ও রানা। এর জের ধরে রোববার বিকেলে সারেংপাড়ায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মেহেদী হাসান, শওকত সহ ১০-১২ জনের একটি দল। এসময় জামশেদ ও রানাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তাদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে চমেক পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় সময় নিজের ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহেদী হাসানও আহত হয়। ঘটনার পর আহত জামশেদের ভাই জাহেদ মিরসরাই থানায় এলে পুলিশ তাকে আটক করেন বলে অভিযোগ করেন রুবেল।
এই বিষয়ে আহত মেহেদী হাসান বলেন, আমরা নয় বরং রানা জামশেদরা আমাদের উপর হামলা করেছে। তারা আমার মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।
এই বিষয়ে মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান (পিপিএম) বলেন, মঘাদিয়ায় মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ে আনে। মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষের শওকত ও জাহেদ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। একটি পক্ষ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা