হাতিয়ায় অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যু আটক, ৯ জেলে উদ্ধার
- নোয়াখালী সংবাদদাতা
- ১৭ মে ২০২০, ১৮:০৭, আপডেট: ১৭ মে ২০২০, ১৭:২৩
মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যুকে আটক করেছে কোষ্টগার্ড। এসময় অপহৃত ৯ জেলেকে অরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করে তারা। রবিবার ভোররাতে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সূখচর ইউনিয়নের উত্তর পাশে গাসিয়ার চরের সন্নিকটে মেঘনা নদী থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। রোববার সকালে তাদেরকে হাতিয়া থানায় প্রেরণ করে কোষ্টগার্ড। আটক জলদস্যুদের বিরুদ্বে কোষ্টগার্ড বাদী হয়ে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেছে।
হাতিয়া কোষ্টগার্ড সূত্রে জানাযায়, গত দুদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে বিচ্ছিন্ন ভাবে জলদস্যুরা ৯জন জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছে। এ সংবাদ পেয়ে কোষ্টগার্ডের একটি টিম নদীতে অভিযানে যায়। পরে শনিবার রাতে কোষ্টগার্ড গাসিয়ার চরের কাছে জলদস্যুদের দেখে দাওয়া করলে অনেকে পালিয়ে গেলেও ৫ জলদস্যুকে তারা আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় জলদস্যুদের কাছ থেকে দুটি বন্দুক দুই রাউন্ড, তাজা গুলি ও ৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়। এসময় জলদস্যুদের অপহৃত ৯ মাঝি মাল্লাকে ও উদ্ধার করা হয়।
আটক ৫ জলদস্যু হলেন, লক্ষীপুর জেলার কমলগঞ্জ থানার তালতলি ইউনিয়নের চরমাটিয়া গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ (২৭), একই জেলার একই থানার চর কাদিরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৮) একই জেলার রামগতি উপজেলার চরগজারিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হারুন(৩৫), ভোলা জেলার তজুমদ্দি উপজেলার চরজহিরুদ্দিনের মফিজ মাস্টারের ছেলে মো. হোসেন (৩৩), লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর গজারিয়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হাসান (৪৫)। উদ্ধার করা ৯ জন জেলের মধ্যে একজনের বাড়ী নোয়াখালীর সূবর্নচর উপজেলায় অন্যদের সবার বাড়ী হাতিয়া উপজেলায়।
হাতিয়া কোষ্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. বিশ্বজিত বড়ুয়া জানান, আটক জলদস্যুদের বিরুদ্বে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে হাতিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকরা জেলেদের অভিবাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।