হাতিয়ায় অস্ত্রসহ ৫ জলদস্যুকে আটক করলো কোস্টগার্ড, ৯ জেলে উদ্ধার
- হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা
- ১৭ মে ২০২০, ১৪:১২, আপডেট: ১৭ মে ২০২০, ১৪:১১
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অস্ত্রসহ পাঁচ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় দুই রাউন্ড গুলি, দুটি বন্দুক, দেশীয় অস্ত্র এবং অপহৃত ৯ জেলেকে অরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
শনিবার গভীর রাতে হাতিয়া উপজেলার সূখচর ইউনিয়নের পাশে গাসিয়ার চর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক জলদস্যুদেরকে রোববার সকালে হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
হাতিয়া কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, দুই দিন ধরে মেঘনা নদীতে বিচ্ছিন্নভাবে জলদস্যুরা ৯ জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছে। এ সংবাদ পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি টিম নদীতে অভিযানে বের হয়। শনিবার রাতে কোস্টগার্ড গাসিয়ার চরের কাছে জলদস্যুদের দেখে ধাওয়া করে। ধাওয়ায় অনেকে পালিয়ে গেলেও পাঁচ জলদস্যুকে তারা আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় জলদস্যুদের কাছ থেকে দুটি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গুলি ও পাঁচটি রামদা উদ্ধার করা হয়। অপহৃত ৯ মাঝি মাল্লাকেও উদ্ধার করা হয়।
আটক পাঁচ জলদস্যু হলো লক্ষ্মীপুর জেলার কমলগঞ্জ থানার তালতলি ইউনিয়নের চরমাটিয়া গ্রামের মইন উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ পারভেজ (২৭), চর কাদিরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে বেলাল হোসেন (২৮), রামগতি উপজেলার চর গজারিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ হারুন (৩৫), ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিনের মফিজ মাস্টারের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৩৩) ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর গজারিয়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ হাসান (৪৫)।
উদ্ধার করা ৯ জেলের মধ্যে একজনের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় ও অন্যদের সবার বাড়ি হাতিয়া উপজেলায়।
হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লে. বিশ্বজিত বড়ুয়া জানান, আটক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড বাদি হয়ে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেছে। এছাড়া উদ্ধারকৃত জেলেদেরকে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।