হোম কোয়ারেন্টিনের ভয় দেখিয়ে চাঁদা, এসআই ক্লোজড
- তাড়াশ( সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
- ০১ মে ২০২০, ১৫:১৮
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মানিক মিয়া ও তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ছানোয়ার হোসেন সাজুর বিরুদ্ধে এক ব্যাবসায়ীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ভয় দেখিয়ে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এসআইকে ক্লোজড ও সাংবাদিককে প্রেসক্লাব থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত এসআই ডাক্তারী ছুটিতে থাকাকালীন সময় নিজ থানা ছেড়ে পাশ্ববর্তী তাড়াশ থানায় গিয়ে তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাংগঠসিক সম্পাদক এম ছানোয়ার হোসেন সাজুকে সাথে নিয়ে উপজেলার তালম শিবপাড়া গিয়ে চাঁদা আদায় করেন। পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী নিজেই উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসির নিকট এমন অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ওসির মাধ্যমে অবগত হন। এরপর, দায়িত্ব অবহেলার দায়ে সাব ইন্সপেক্টর মানিককে ক্লোজ করে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করা হয়।
অপর দিকে তাড়াশ প্রেসক্লাব সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ও প্রাথমিক সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় ১ মে শুক্রবার সকালে তাড়াশ প্রেসক্লাবের এক জরুরী সভায় প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ছানোয়ার হোসেন সাজুকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। এবং ৫সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তাড়াশ পেসক্লাবের সভাপতি ও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রভাষক সনাতন দাশ বলেন, প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় ছানোয়ারকে সংগঠন থেকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ যে অভিযোগকারী মুর্শিদা খাতুন তাড়াশ উপজেলার তালম শিবপাড়ার আবুজল প্রামানিকের স্ত্রী। চলমান করোনায় আবুজল ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি এসে আটকা পড়েন। জীবন জীবিকার তাগিদে গত প্রায় এক মাস থেকে আবুজল স্থানীয়ভাবে মাস্কের ব্যবসা শুরু করেছেন। ঢাকা থেকে আগত আবুজলকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ভয় দেখিয়ে গত ২৩ এপ্রিল তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ২ হাজার ৬ শত টাকার বিনিময়ে তাদের হাত থেকে রক্ষা পান।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি দীপক কুমার বলেন, ‘পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক আদেশে গত বুধবার রাতে মানিককে ক্লোজ করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। ডাক্তারী ছুটিতে থেকে তাড়াশ গিয়ে যে কান্ডটি সে ঘটিয়েছে, সেটি ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে সাব ইন্সপেক্টর মানিক মিয়ার মুঠোফোনে শুক্রবার ভোরে রিং করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে তাৎক্ষনিক ফোন কেটে দেন।
ক্লোজের সত্যতা স্বীকার করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ বলেন, বিষয়টি বিব্রতকর। তারপরেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।