২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দাগনভূঞায় সূর্যমুখী ফুলে কৃষকের হাসি

দাগনভূঞায় সূর্যমুখী ফুলে কৃষকের হাসি - নয়া দিগন্ত

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন কৃষকরা। উপজেলার ১০ জন কৃষক ১০ বিঘা জমিতে এ সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন তারা।

সূর্যমুখী গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। প্রতিদিন বিকেলে উপজেলার আশপাশ এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসুরা দল বেধে আসেন এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। অনেকেই বাগানে ঢুকে শখ করে ছবি তোলেন। সরেজমিনে উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে সূর্যমুখী ফুলের বাগান।

মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম। ২৪ শতক জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তার সূর্যমুখী ক্ষেতে ফুল ধরতে শুরু করেছে। চারিদিকে হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ। মনমাতানো ঘ্রাণ। হলুদের সমাহার। প্রতিটি বাগানেই মৌমাছির দল গুনগুন শব্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কৃষক কাজি জহিরুল ইসলাম টিপু জানান, উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে এ বছরই প্রথমবারের মতো জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেয়া হয়। কৃষি অফিস থেকে সব সময় খোঁজ-খবর রাখা ও তদারকি করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আসে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। আশাকরি সূর্যমুখী চাষে লাভবান হবো।

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রাফিউল ইসলাম জানান, বেশি লাভজনক ফসল সূর্যমুখী। প্রথমবার কৃষকরা সূর্যমূখী চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশা করছি। আগামীতে উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ আরও বাড়বে। এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ১০ জন কৃষক ১০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল