মিরসরাইয়ে আকাশ থেকে পড়া করোনার ওষুধ কুড়ানোর হিড়িক!
- এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ১৫ এপ্রিল ২০২০, ০৭:০৫, আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৫৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ‘স্বপ্নেপ্রাপ্ত’ মহামারি করোনাভাইরাসের ওষুধ কুড়ানোর হিড়িক পড়েছে। এটি এক প্রকার গাছের ফল, ভিজিয়ে পানি পান করলে করোনামুক্ত হওয়া যাবে বলে হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খবর আসে লোকজন বিচি কুড়িয়েছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বললেন, এসব গুজব ছাড়া কিছুই না। এই ফলের পানি খেয়ে উল্টা অসুস্থও হয়ে যেতে পারেন কেউ।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ গুজব ছড়িয়ে পড়ে এক ধরনের গাছের ফল (বিচি) পাওয়া যাচ্ছে, যা খেলেই করোনামুক্ত হওয়া যাবে! এই খবরের পর ওয়াহেদপুর, মায়ানী, মিরসরাই সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় এ গুজব ডালপালা ছড়াতে থাকে এবং অনেকেই বাড়ির সামনে ও আশপাশে খুঁজে ওই ফলটি বের করেন।
ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা মাঈন উদ্দিন লিটন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি অনেক নারী পুরুষ টর্চলাইটের আলো দিয়ে কী যেন খোঁজ করছে। কৌতুহলী হয়ে আমি সামনে গিয়ে দেখি অনেকটা অশ্বথ গাছের ফলের মতো এই ফলটি কুড়ানোর হিড়িক লেগে যায় রীতিমতো। এটি ডুবিয়ে পানি খেলেই নাকি করোনামুক্ত হওয়া যাবে! আমি বিষয়টি গুজব বলার পর কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
মিরসরাই পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ রাশেল বলেন, সন্ধ্যার পর হঠাৎ এরকম করোনামুক্তির মহৌষধের কথা বিভিন্নজনের কাছে শুনলাম। কেউ নাকি এটি নিজের বাড়ির উঠোনে পাচ্ছে কেউ নাকি এটি নিজের ঘরের সামনের রাস্তায় কুড়িয়ে পাচ্ছেন। আমার আশপাশের অনেক ঘরের মানুষই এটি পেয়েছে জেনে কৌতুহলবশত আমার আম্মাও ঘরের সামনে একটি ফল খুঁজে পান। এই ফলটি ভিজিয়ে খেলে করোনামুক্ত হওয়া যাবে বলে শুনেছেন তিনি। তবে এর সত্যতা কতটুকু তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
এদিকে সূত্রগুলো জানিয়েছে এই ফল বা বিচিটি খেলে করোনামুক্ত হওয়া যাবে- এমন খবর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদি এটি গুজব বলেই মন্তব্য করেছেন মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোঃ মিজানুর রহমান। এটি পুরোপুরিই গুজব। বরং না জেনে এ ধরনের ফল বা তা ভিজিয়ে পানি খেলে উল্টা রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই গুজবের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের কোনো ফল বা বিচি না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।