০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, empty
`
কুমিল্লার তনু হত্যা

চার বছরে ডিএনএ রিপোর্ট পায়নি পুলিশি

চার বছরে ডিএনএ রিপোর্ট পায়নি পুলিশি - সংগৃহীত

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার চার বছরেও ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসেনি পুলিশের। ফলে হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্তদের শনাক্ত করতে পারছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে হত্যাকারীদের বিচার চেয়ে এখনো বুক ভাসায় তনুর মাসহ স্বজনরা।

জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর বাসায় ফিরেনি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর লাশ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবি’র পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা।

তনুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগ মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভরসা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। ২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর জামা-কাপড় থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।

গণজাগরণ মঞ্চ- কুমিল্লার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান বলেন, হত্যাকারীদের সাজার দাবিতে আমাদের কর্মসূচি ছিলো। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত করেছি। আমরা চাই দ্রুত তনু হত্যার আসামি শনাক্ত হোক। নুসরাতের মতো তনুর হত্যাকারীদেরও সাজা হোক।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, সারা বাসায় মেয়ের স্মৃতি। সে বাসা সাজিয়েছে। যেদিকে তাকিয়ে দেখি। তাকে ভুলতে পারি না। মেয়ের কাপড় গুলো রেখে দিয়েছি। মাঝে মাঝে বের করে দেখি। কাপড়ে মেয়ের গায়ের ঘ্রাণ নিই। আর চোখে পানি ফেলি। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ডিএনএ পরীক্ষা এবং ম্যাচিং করার বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। ডিএনএ’র রিপোর্ট এখনও হাতে পাইনি। রিপোর্ট পেলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।


আরো সংবাদ



premium cement