নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়ল স্কুলের আইসিটি ভবণ
- জালালউদ্দিন মনির,নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা
- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়ে আইসিটি ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী। এ কারণে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়েছে ভবণের একাংশের দেয়াল। এ ঘটনায় দুই নির্মাণ শ্রমিক ও এক ছাত্র আহত হয়েছে।
জানা যায়, নবীনগর উপজেলার লাপাং উচ্চ বিদ্যালয়ে আইসিটি ভবনটি জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে এক তলা এ ভবন নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এক আওয়ামীলীগ নেতার ভাগ্নের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজ গত মাসে বিদ্যালয়ের একতলা পুরাতন ভবনের উপর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণাধীন ভবনটির নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পরে। এতে দুই নির্মাণ শ্রমিক ও এক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সময় স্কুলে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আতংকিত হয়ে ক্লাস রুম থেকে স্কুল মাঠে বেরিয়ে আসে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, এই নির্মাণ কাজটি খুবই নিম্নমানের হয়েছে। তদন্ত করে প্রযোজনীয ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, একাডেমিক সুপারভাইজার ইতি বেগম। বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরুজ মিয়া বলেন, আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।নিম্নমানের কাজ করার কারণে ওই ঠিকাদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদুল ইসলাম লিটন অভিযোগ করে বলেন, এই নির্মাণ কাজ শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ঠিকাদার সালাউদ্দিন ও প্রকৌশলী কেউই একবারের জন্য কাজের সাইডে আসেননি ও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও করেননি।নিম্নমানের কাজ শুরু করায় রাজমিস্ত্রীকে অনেকবার বাঁধা দেয়ার পরও তারা কাজ চলমান রাখে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে নির্মাণাধীন ভবনের একটি দেয়াল বিকট শব্দে ধ্বসে পরে। এতে করে নিচতলার ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।
নবীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। নিম্মমানের কাজ হয়ে থাকলে ভবণটি ভেঙ্গে আবারও নতুন করে করতে হবে, এ বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
ঠিকাদার সালাউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করি নাই। সঠিকভাবে কাজ করেছি। বারান্দার দেয়ালে অতিরিক্ত লোডের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।