ফেনীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে মারধর
- ফেনী অফিস
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:১৬

সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ফেনী প্রতিনিধি মো: ওমর ফারুককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীরা তাকে হামলা করেছেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার সিলোনীয়া মাদরাসা-সংলগ্ন সালেহ আহমদের দোকানের সামনে এ হামলার শিকার হন ফারুক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পেশাগত কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে ফেনী শহরের দিকে আসার পথে তার বাড়ি-সংলগ্ন ওই মাদরাসা সড়কে চারটি মোটরসাইকেলে করে একই ইউনিয়নের যাত্রাসিদ্দি গ্রামের ওমর ফারুক প্রকাশ জামাই ফারুকের নেতৃত্বে স্থানীয় সোহাগ, মামুন, তারেক রাহিদ, রাসেল ও কিরণসহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক ওমর ফারুকের ওপর হামলা চালায়। তাকে কিল ঘুষি দিয়ে সড়কে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
এ ঘটনায় ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। একইসাথে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন।
খবর পেয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী, ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো: হাবিবুর রহমান জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়েই তিনি হাসাপাতালে গিয়ে আহত ওমর ফারুকের চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। সেইসাথে এ হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘শিগগিরই দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ফেনীতে হত্যা মামলার আসামি তাঁতীলীগ নেতার বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, বালু লুটে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জেলা যুবদল নেতা শিপন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাই ফারুক, ইউনিয়ন তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা শ্রমিক দল নেতা মামুন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি রাফিকসহ অনেকেই।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলায় জড়িতরা তাকে খুঁজে না পেয়ে মঙ্গলবার বাড়িতে গিয়ে তার মা ও স্ত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি প্রদান করেছে বলেও পরিবারের দাবি।
এদিকে, ঘটনা জানাজানি হলে ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।