২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ শাবান ১৪৪৬
`

নোয়াখালীতে দাফনের ১১ বছর পর জামায়াত-শিবিরের তিন কর্মীর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে দাফনের ১১ বছর পর জামায়াত-শিবিরের তিন কর্মীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। - ছবি : নয়া দিগন্ত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে ১১ বছর পর জামায়াত-শিবিরের তিন কর্মীর লাশ (হাড়গোড়) তোলা হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার নতুন বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান, রামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করিম উল্লাহ মাঝি বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান ও চরকাঁকড়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের কমর উদ্দিন বেপারী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এসব লাশ উত্তোলন করা হয়।

জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা হচ্ছে, উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল আজিজ ওরফে রায়হান (১৮), রামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুর ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০) ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে সাইফুল বাবলু (২০)।

তাদের মধ্যে বামনী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল, বসুরহাট দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী রায়হান শিবির কর্মী ছিলেন এবং বাবলু পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রি ও জামায়াত কর্মী ছিলেন।

জানা যায়, নিহতের স্বজনদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশের পর সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঈনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতের আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন বলেন, নিহতের স্বজন ১১ বছর পর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করেছেন। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুনের আসামিদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে জামায়াত-শিবিরের তিন কর্মীর লাশ উত্তোলন করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে বসুরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। কোম্পানীগঞ্জ শাখা জামায়াতে ইসলামীর এই বিক্ষোভ মিছিলে আড়াই থেকে তিন হাজার লোক সমবেত হন। জামায়াত নেতাদের নেতৃত্বে করা বিক্ষোভ মিছিলটিতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় জামায়াত ও শিবিরের সাতজন নেতা-কর্মী নিহত হন। যাদের মধ্যে তিনজনের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। বাকি চারজনের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে দাফন করা হয়, তখন মামলাও হয়নি। পরে ৫ আগস্ট পরবর্তী এ ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: নুরুজ্জামানসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয় আদালতে। পরে আদালতের নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
অভয়নগরে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে ২ যুবক নিহত সন্দেহজনক প্রকাশনায় পদোন্নতির আয়োজন চলছে বিএসএমএমইউতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে জাতিসংঘের মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত মঙ্গলবার থেকে সাজেকে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন নোয়াখালীতে আ’লীগ নেতা গ্রেফতার যৌন নীপিড়ন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে মামলা, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ ঢাকায় কেমন রাজনৈতিক বিন্যাস চায় দিল্লি বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে : তৌহিদ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করল কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের উপর হামলা করে আ’লীগ নেতাকে ছিনতাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আনসার সদস্যরা দৃঢ় ভূমিকা পালন করছে : ডিজি

সকল