বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ সুজয়ের লাশ উত্তোলনে পরিবারের বাধা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৯
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গত ৫ আগস্ট শহীদ হওয়া তানজিল মাহমুদ সুজয়ের (১৯) লাশ উত্তোলন করতে গিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সুজয়। সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া সুজয় ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান। তার মৃত্যুর ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার পরিবার।
আদালতের নির্দেশে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় লাশ উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু পরিবার ও এলাকাবাসীর বাধার মুখে তা স্থগিত হয়ে যায়।
নিহতের মামা মাজেদুল হক জানান, গত ২২ আগস্ট তিনি আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেছেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার যেমন লাশ উত্তোলন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে, তেমনি সুজয়ের বিচারও লাশ উত্তোলন না করে সম্ভব।
বিটঘর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, পরিবারের আবেগ ও অনুরোধের কারণে লাশ উত্তোলন সম্ভব হয়নি।
বিটঘর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার গিয়াসউদ্দিন জানান, দাফনের সময় সুজয়ের লাশ অর্ধগলিত ও পোড়া ছিল। লাশ উত্তোলন পরিবারের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হবে বলে তারা বাধা দিয়েছেন। তিনি জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের লাশের পোস্টমর্টেম ছাড়াই বিচার কার্যক্রম চালনো উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
ঢাকা জেলার সিআইডি পরিদর্শক মো: মাসুম জানান, আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু মুছার নেতৃত্বে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু মুছা বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী লাশ উত্তোলনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু সুজয়ের বাবা ও আত্মীয়স্বজনের লিখিত এবং মৌখিক বক্তব্যকে সম্মান জানিয়ে লাশ উত্তোলন না করে ফিরে যাচ্ছি। এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা